বইমেলার লিটল ম্যাগ চত্বরের স্থান পরিবর্তন
অমর একুশে বইমেলা বরাবরই বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা একাডেমি চত্বরে সরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের স্টল রাখা হয়। পাশাপাশি বহেরা তলায় করা হয় লিটল ম্যাগ চত্বর। তবে এ বছর বহেরা তলার লিটল ম্যাগ চত্বর সরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আনা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাট্যমঞ্চের পাশে গ্লাস টাওয়ার ঘিরে নির্মিত লেকের কাছাকাছি নেওয়া হয়েছে লিটল ম্যাগ চত্বর। লেখক, কবি, নাট্যকর্মী ও লিটল ম্যাগকর্মীরা আগে থেকেই এ ব্যাপারে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বিগত বছরগুলোতে তাদের দাবি ছিল, লিটল ম্যাগ চত্বরকে যেন মূল মেলা অংশে নেওয়া হয়।
বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী তাদের সে দাবিকে বাস্তবায়ন করেছেন। দীর্ঘদিনের দাবির মুখে এ বছরই প্রথম লিটল ম্যাগ চত্বর স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে খুশি হয়েছেন লেখক, পাঠক ও লিটল ম্যাগ সংশ্লিষ্টরা। এ বছর আর লেখকদের আড্ডা দিতে বাংলা একাডেমি চত্বরে যেতে হবে না বলে তারা আনন্দিত।
এ ব্যাপারে নাট্যকর্মী পাভেল রহমান জানান, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। মূল মেলা প্রাঙ্গণে লিটল ম্যাগ চত্বর হওয়ায় আমাদের জন্য সুবিধা হলো। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন হওয়ায় আয়োজকদের সাধুবাদ জানাই। এবারের লিটল ম্যাগ চত্বর অন্য সময়ের চেয়ে বেশি প্রাণবন্ত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
তরুণ লেখক পুষ্পিতা দাস পিউ বলেন, ‘লিটল ম্যাগের স্থান পরিবর্তন করা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। কেননা বিগত বছরগুলোতে লিটল ম্যাগকর্মীরা মূল আয়োজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতেন। তবে এবারের লিটল ম্যাগের স্টল বিন্যাস আরও ভালো করা যেত। গোলাকৃতির হলে ভালো হতো। এখন একটি স্টলকে অন্যটি আড়াল করে ফেলেছে।’
তরুণ সংবাদকর্মী ও লেখক রনি রেজা বলেন, ‘ভালো একটি সিদ্ধান্তের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হয়। এখনো অনেক স্টল ফাঁকা রয়েছে। তিন দিনেও অনেক লিটল ম্যাগ স্টল সাজাতে পারেনি। তাই বলব, যাচাই-বাছাই করে স্টল বরাদ্দ দিলে ফাঁকা জায়গাটা হয়তো থাকতো না। এমনকি তদারকির মাধ্যমে স্টলের সৌন্দর্য নিশ্চিত করা দরকার।’
ছিন্নপত্রের সম্পাদক ও প্রকাশক খালেদ রাহী বলেন, ‘এত বছর পর মনে হলো, বিছিন্ন একটি দ্বীপ থেকে আমরা একটি ভূ-খণ্ডে এসে পৌঁছেছি। আমার মনে হচ্ছে, লিটল ম্যাগ চত্বরের জায়গাটি আরও প্রসারিত করা যেত। বসে আড্ডা দেওয়ার মতো ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। তারপরও এ বছর যেহেতু শুরু হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা করছি।’
এসইউ/এমকেএইচ