এবার আলোচনায় সাদাত হোসাইনের বইয়ের ব্যাক-কভার
তরুণ লেখক সাদাত হোসাইনকে নিয়ে আলোচনা নতুন কিছু নয়। সে আলোচনা ইতিবাচক বা নেতিবাচকও হয়। তবে এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন তার বইয়ের ব্যাক-কভারের জন্য। এ বছরের বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত তার বইয়ের প্রচ্ছদে ব্যবহার করা হয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়।
জানা যায়, এবারের বইমেলায় এ সময়ের আলোচিত ও জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসাইনের চারটি বই প্রকাশ হচ্ছে। সেসব বইয়ের ব্যাক-কভারে পরিবেশ বিপর্যয়ের সচেতনতা তৈরির জন্যই অভিনব এ কাজ করেছেন তিনি। বইয়ের সাথে সাথে অসংখ্য পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে প্রচ্ছদের সচেতনতামূলক বার্তাসমূহ।
বইয়ের পেছনের কভারজুড়ে ‘সেভ ট্রি সেভ প্ল্যানেট’, ‘সেভ ওয়াটার সেভ লাইফ’- এমন বার্তা দিয়ে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ইন্টানেট থেকে সংগৃহীত পরিবেশ সচেতনতামূলক ছবিগুলোতে সাদাত হোসাইনের বার্তার পাশাপাশি রয়েছে রেড ইন্ডিয়ানদের বিখ্যাত উক্তি, ‘যেদিন পৃথিবীর শেষ গাছটি কেটে ফেলা হবে, শেষ মাছটি ধরে ফেলা হবে, শেষ নদীটির জলও বিষাক্ত করে ফেলা হবে, শুধু সেদিনই মানুষ বুঝবে, টাকা খেয়ে বাঁচা যায় না’।
বইমেলার আগেই তা প্রি-অর্ডারের মাধ্যমে পাঠকের হাতে পৌঁছেছে। বই হাতে পাওয়া পাঠকরা জানান, প্রি-অর্ডারের মাধ্যমে তারা বইগুলো পেয়েছেন। বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদজুড়ে দেওয়া হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক ছবি ও বার্তা। ছবিগুলোতে পরিবেশ রক্ষায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, অপরিকল্পিত বন ধ্বংস, পানির অপচয় রোধসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নানা বিষয় উঠে এসেছে।
সাদাত হোসাইন এ মুহূর্তে অবস্থান করছেন কলকাতায়। তিনি কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলায় অংশ নেবেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, ‘বইমেলায় অন্যধারা থেকে আসছে উপন্যাস ‘অর্ধবৃত্ত’ ও কবিতার বই ‘তোমাকে দেখার অসুখ’। অন্যপ্রকাশ থেকে আসছে উপন্যাস ‘মেঘেদের দিন’ ও ‘মরণোত্তম’। এ চারটি বইয়ের পেছনের কভারে রয়েছে সচেতনতামূলক প্রচারণা।’
অভিনব এ ধারণা বা উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গ্রামে বড় হওয়ার কারণেই সম্ভবত পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রভাবটা বেশি বুঝতে পারি। শৈশবে দেখা পরিচিত কত ধরনের মাছ, পাখি যে উধাও হয়ে গেছে, তা গ্রামে গেলেই বুঝতে পারি। বিষয়টি ভয়াবহ অস্বস্তি দেয়, অস্থিরতা তৈরি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সুইডেনের গ্রেটা থানবার্গের পরিবেশ সচেতনতার আন্দোলন আমাকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে। তখনই মনে হয়েছে একজন লেখক হিসেবে বইয়ের মাধ্যমে সামান্য কিছু হলেও করতে পারি। সে ভাবনা থেকেই বইয়ের পেছনের ফাঁকা জায়গাটুকু কাজে লাগানোর এ চেষ্টা। যদি একজন মানুষও এতে নতুন করে ভাবেন, তবে সেটিও বিশাল প্রাপ্তি বলেই মনে করবো।’
ভবিষ্যতে ক্লাইমেট চেঞ্জ ইস্যুতে কাজ করার ইচ্ছে আছে তার। বইয়ের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতায় আরও কোনো আইডিয়া নিয়ে হাজির হতে পারেন পাঠকের সামনে।
এসইউ/এমকেএইচ