শিশুপ্রহর আছে, নেই সিসিমপুর

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সপ্তাহে দুই দিন শুক্র-শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা শিশুপ্রহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী এবারের বইমেলাতেও প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর উদযাপন করা হয়। এ শিশুপ্রহরের মূল আকর্ষণ সিসিমপুর।
সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, শিকু, ইকরির গল্প শুনতে বাবা-মায়ের হাত ধরে বইমেলায় ছুটে আসে শিশুরা। আগের দিনগুলোর মতো মেলার শেষদিন শনিবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে মেলার শিশু চত্বরে এসে কিছুটা হতাশ হতে হয়েছে অভিভাবক ও শিশুদের। কারণ আজ শিশুপ্রহর থাকলেও সিসিমপুরের কোনো শোয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বইমেলার যে মঞ্চে সিসিমপুর শো অনুষ্ঠিত হয়, সেই মঞ্চের তত্ত্বাবধায়নে থাকা রাজু আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজও শিশু প্রহর আছে। তবে আজ কোনো শো হবে না। সিসিমপুরের কেউ আজ আসবে না। শো গতকাল শুক্রবারই শেষ হয়ে গেছে।’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এদিকে বইমেলা প্রাঙ্গণের শিশু চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ১১টার পর থেকেই শিশুরা বাবা-মায়ের হাত ধরে শিশু চত্বরের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছে। মঞ্চে শিকু, হালুম, টুকটুকি, ইকরি না থাকলেও লাফালাফিতে মত্ত একদল শিশু। মঞ্চে এসে শিশুদের বাবা-মায়েরা জানতে পারেন আজ সিসিমপুরের কোনো শো হবে না।
বিজ্ঞাপন
এমন তথ্য কিছুটা হতাশ মো. আব্দুল আলীম নামের একজন বলেন, ‘বইমেলার শিশু প্রহরের মূল আকর্ষণ সিসিমপুর। বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে আসছি সিসিমপুর দেখতে। কিন্তু এখানে এসে শুনি আজ সিসিমপুর হবে না। এতে কিছুটা খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই। এখন বাচ্চাকে নিয়ে মেলায় কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে চলে যাব।’
সিসিমপুর হবে না শুনে কিছুটা হতাশ শিশু মিথিলা বলে, ‘সিসিমপুরের ইকরির গল্প শুনতে আমার খুব ভালো লাগে। তাই সিসিমপুর দেখব বলে বাবার সঙ্গে এখানে এসেছি। কিন্তু এক আঙ্কেল বললেন আজ সিসিমপুর হবে না। এটা শুনে খুব খারাপ লাগলো।’
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, অমর একুশে বইমেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। কিন্তু লেখক ও প্রকাশকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দুইদিন সময় বাড়ানো হয়। ফলে আজ শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি।
এমএএস/এনডিএস/এমএস
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন