প্রকাশিত হলো বাংলা কোচবিহার সামরিক ইতিহাস
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুসালেহ সেকেন্দারের গবেষণাগ্রন্থ ‘বাংলা কোচবিহার সামরিক ইতিহাস’ প্রকাশিত হয়েছে।
সামরিক কূটনীতি বাংলার ইতিহাসে অনালোচিত বিষয়। সাধারণত বাংলার ইতিহাসকে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করা হয়। রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে সামরিক ইতিহাস অবশ্য আলোচিত হয় শাসকদের রাজ্যবিস্তার নীতির অংশ হিসেবে।
সম্প্রতি স্বল্পপরিসরে বাংলার সামরিক ইতিহাসের চর্চা শুরু হলেও সামরিক ইতিহাস ও সামরিক কূটনীতি, রণনীতি-রণকৌশল বিষয়ে বইটি প্রথম প্রয়াস। সমসাময়িক ইতিহাসের মৌলিক উৎসের নতুন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই বইয়ে সুলতানি বাংলার সাথে কোচবিহার অঞ্চলের সামরিক ইতিহাস বিশেষ করে, উভয় অঞ্চলের শাসকদের পরস্পরের প্রতি গৃহীত সামরিক কূটনীতি, রণনীতি-রণকৌশল বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
মাত্র সতেরো জন ঘোড়সওয়ার নিয়ে ইখতিয়ার-উদ-দীন মোহাম্মদ ইবনে বখতিয়ার খলজি বাংলা বিজয় করলেও দশ হাজার সৈন্যের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কেন কামরূপে পরাজয় বরণ করেন? এ রকম অনেক প্রশ্নের যৌক্তিকতাও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিজ্ঞানভিত্তিক ইতিহাসচর্চার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দিয়ে সুলতানি বাংলা ও কোচবিহারে প্রচলিত ঐতিহাসিক মিথ বা লোককাহিনির বিভিন্ন ঘটনার ঐতিহাসিক সত্যতা অনুসন্ধান করা হয়েছে। বইটিতে ১২০৪ থেকে ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা ও কোচবিহার অঞ্চলের প্রায় সব শাসকের পরস্পরের প্রতি গৃহীত সামরিক নীতি আলোচনা করা হয়েছে।
হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহ ইসমাইল গাজীসহ (র.) অনেক সুফি-সাধকের সামরিক জীবনও বইটিতে স্থান পেয়েছে। প্রচলিত ইতিহাসচর্চার বাইরে ইতিহাসকে ভিন্ন চিন্তা থেকে দেখা ও বাংলার ইতিহাসে সামরিক কূটনীতি তথা সামরিক ইতিহাসের ক্ষেত্রে বইটি নতুন ধারার সূচনা করবে।
বইটির প্রকাশক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। মূল্য রাখা হয়েছে ২৭৫ টাকা। বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমি চত্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ নম্বর স্টলে।
এসইউ/এমএস