ফাগুনের প্রথম বৃষ্টিতেই লণ্ডভণ্ড বইমেলা
ফাগুনের প্রথম বৃষ্টিতেই লণ্ডভণ্ড অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হলেও বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়নি প্রকাশনাগুলো। অন্তত ৫০ শতাংশ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বই ভিজে গেছে।
রোববার অমর একুশে বইমেলায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিকেল ৩টায় মেলার ভেতরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হলেও তখনও বই শুকাতে ও গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে প্রকাশনাগুলোকে।
অন্তত ২৫টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি প্রকাশনারই লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার বই নষ্ট হয়েছে। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিয়ে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমিকে চিঠিও পাঠিয়েছেন।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকেও বই রোদে শুকাতে দেখা গেছে- বাংলা প্রকাশ, অন্য প্রকাশ, গদ্য-পদ্য, নালন্দা, অ্যাডর্ন, নাগরী, জনপ্রিয় প্রকাশনী, নব সাহিত্য প্রকাশনী, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, শিকড়, জাগৃতি প্রকাশনী, অন্য রকম প্রকাশনী, বাংলার প্রকাশ, বাবুই প্রকাশনী, বলাকা, সাহিত্য বিকাশ, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রসহ অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্টলগুলোর উপরে টিনের ছাউনি থাকলেও কোথায়ও কোথায়ও তা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে গেছে। যার কারণে পাশ থেকে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে উপর থেকে ছাউনি ফাটল ধরে পানিপড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি ছিল। এছাড়াও দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে কোথায়ও কোথায়ও স্টলের স্ট্রাকচার নষ্ট হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলা একাডেমি অংশের স্টলগুলোতে ছিল একই চিত্র। এছাড়াও বাংলা একাডেমি চত্বরে প্রচুর পরিমাণ পানি জমায় সেচ দিলেও এখনো কাঁদার ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের।
জানতে চাইলে অন্য প্রকাশের পরিচালক সিরাজুল কবির চৌধুরী বলেন, আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো বৃষ্টির কারণে প্যাভেলিয়নের উপরে টিন থাকলেও তার মধ্য দিয়েও পানি ভেতরে প্রবেশ করছে। অনন্ত লাখ দেড় লাখ টাকার বই নষ্ট হয়েছে আমাদের। আমরা বাংলা একাডেমিকে বিষয়টি জানিয়েছি।
নাগরী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আবুল হাসনাত বলেন, আমাদের অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপরের ছাউনি সরে গেছে। অনন্ত ৫-৭ লাখ টাকার বই নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বাংলা প্রকাশের বিক্রয়কর্মী রূপা মজুমদার বলেন, আমাদের প্যাভেলিয়নেরও উপর থেকে পানি পড়ে অনেক বই ভিজে গেছে। এতে অনন্ত আমাদের লাখ টাকার বই নষ্ট হয়েছে।
গদ্য-পদ্যের নিশাত আঞ্জুম বলেন, বৃষ্টিতে আমাদের অনেক বই ভিজে গেছে। তবে আগে থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়ায় নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে বলে জানান নিশাত।
এমএইচ/বিএ/জেআইএম