কচিকাঁচার কলতানে মুখর বইমেলা
প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন ঘটেছে দু’দিন হলো। সাজ সাজ রব সব জায়গায়। সব জরাজীর্ণতাকে ঝেড়ে ফেলে প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। বসন্তের তৃতীয় দিনে ১৫দিনে পা দিল বইমেলা। বইমেলায় কোকিলের কুহু ডাক হয়তো নেই, কিন্তু ছিল কচিকাচার কলতান।
আজ শিশুপ্রহর। শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর তাই বইমেলা। বেলা ১১টায় মেলার দ্বার খোলার পর থেকেই মেলায় শিশু-কিশোরদের প্রবেশ করতে দেখা গেছে। কেউ বাবা-মায়ের সাথে, কেউ বা বড় ভাই বোন কিংবা দাদা-নানাদের সাথে, প্রিয়জনের হাত ধরেই প্রবেশ করছে বইমেলায়। আর টই টই করে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ।
কখনও কখনও নতুন বইয়ের গন্ধে বুঁদ হচ্ছে ওরা। বায়না ধরছে নতুন বই কিনে দিতে। শুধু বই কেনা ও ঘোরাঘুরিই নয়, শিশু চত্বরে সিসিমপুরের আয়োজনও দেখতে ভিড় জমিয়েছে ওরা। হালুম, টিকটিকি, ইকরিদের সাথে মধুর সময় কাটিয়েছে কচিকাঁচার দল।
কথা হয় স্কলাস্টিকার ছাত্রী নুজহাত ইসলামের সঙ্গে। বলে, বইমেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। অংকনের বই কিনবে সে।
উদয়ন স্কুলের ছাত্র আফিফ জানায়, বইমেলায় আজসহ তিনদিন এসেছে সে। আজও মেলায় এসে ঘোরাঘুরি করছে। একটি সায়েন্স ফিকশন বই কিনবে সে।
মিরপুরের বাসিন্দা সুরাইয়া আক্তার বলেন, দুই সন্তানকে নিয়ে মেলায় এসেছি। আজতো মেলায় শিশুপ্রহর। তাই ওদের নিয়ে এসেছি। বিকেলে ভিড় বেশি থাকে বলে ওদের নিয়ে ঘোরা কষ্টকর হয়ে যায়। আশা করছি ওরা মজা পেয়েছে।
এমএইচ/এনএফ/এমএস