বাংলা একাডেমি চত্বরে নিঃসঙ্গ নজরুল
বাঙালির প্রাণের উৎসব বইমেলা শুরু হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন বিকেল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মেলা প্রাঙ্গন। প্রথম দু’তিন দিন জমে না উঠলেও আস্তে আস্তে জমতে শুরু করেছে বইমেলা।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসেছে বইমেলা। বিভিন্ন প্রকাশনী ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টলে প্রাণ পেয়েছে প্রিয় বইমেলা। স্টলের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন আয়োজন। এবারের মতো প্রথম শুরু হয়েছে ‘লেখক বলছি’ নামের লেখক-পাঠকের আড্ডা।
এছাড়াও মিডিয়া সেন্টার, শিশু কর্নার, খাবার ও নামাজের স্থান, ব্রেস্টফিডিং কর্নার ও শৌচাগারসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আগত পাঠকদের জন্য। রাখা হয়েছে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ। যে আয়োজনটি বেশকয়েক বছর হয়ে আসছিল বাংলা একাডেমি চত্বরের নজরুল মঞ্চে।
> আরও পড়ুন- বইমেলা ঘিরে বাড়ছে লেখক-প্রকাশক দূরত্ব
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে এবারের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চটি করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। সেখানে প্রবেশ পথের ডানপাশে অর্থাৎ কালি মন্দির সংলগ্ন চত্বরে করা হয়েছে মঞ্চটি। ফলে সবাই নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের জন্য ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে বা পারিবারিক আবহে মোড়ক উন্মোচন করা হচ্ছে প্রতিদিন।
ফলে জৌলুস হারিয়েছে একাডেমি চত্বরের ‘নজরুল মঞ্চ’। ‘নজরুল মঞ্চ’ এখন সাদামাটা অবস্থায় পড়ে আছে। এমনকি মঞ্চটিকেও আগের মতো সাজানোও হয়নি। যে কারণে এক সময়ের জমজমাট নজরুল মঞ্চ এখন আর সহসা কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে না।
নজরুল মঞ্চটি বাংলা একাডেমি চত্বরে প্রবেশ পথের পাশে হওয়ার পরও চাকচিক্যময় অবস্থা না থাকায় কারো নজরে পড়ছে না। যদিও একসময় এখানেই খুব ভিড় লেগে থাকতো। তবে মোড়ক উন্মোচনের আয়োজনটি বৃহদাংশে চলে যাওয়ায় পাঠকের জন্যও এক হিসেবে ভালোই হয়েছে।
> আরও পড়ুন- এবার বইমেলায় সাহিত্য সম্মেলন হচ্ছে না
এছাড়া প্রবেশ পথের সামনে ভিড়ও কমাতে সাহায্য করেছে। তবে পাঠকরা বলছেন, নজরুল মঞ্চে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত না হলেও এটিকে দৃষ্টিনন্দন করা যেত। আগ্রহীরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারতো। কবি নজরুলের ভাস্কর্যটিকেও দৃষ্টিনন্দন করার ব্যবস্থা নিলে ভালো হতো।
এসইউ/আরআইপি