বইমেলায় আসছে ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগের বই
আসছে বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস’ নামের ইতিহাস গ্রন্থ।
ছাত্রলীগের জন্ম, তিলে তিলে বেড়ে ওঠার পথপরিক্রমা নিয়ে গ্রন্থটির প্রথম খণ্ড দাঁড় করিয়েছেন তিনি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সালে ছাত্রলীগের উত্থান-পতনের ইতিহাস ঠাঁই পেয়েছে বইটিতে। বইটি প্রকাশ করেছে শব্দশৈলী প্রকাশনী।
এ বিষয়ে বইটির লেখক সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাসকে বাঙালির ইতিহাস বলে আখ্যায়িত করেছেন ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাও ছাত্রলীগের ইতিহাসকে বাংলাদেশের ইতিহাস বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির গৌরব এবং সাফল্যের ইতিহাস জানতে হলে অবধারিতভাবেই জানতে হবে ছাত্রলীগের ইতিহাসও।’
তিনি বলেন, ৬৯ বছরের পথপরিক্রমায় ঐতিহাসিক এই সংগঠনের ইতিহাস নিয়েও কাটাছেঁড়া হয়েছে বিস্তর, ছড়িয়েছে বিভ্রান্তিও। সেসব ভ্রান্তি ছেঁটে ইতিহাসের প্রকৃত আখ্যান প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় তুলে আনার প্রয়াস- ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস’। এবার অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিতব্য বইটি সাইফুর রহমান সোহাগের লেখা প্রথম বই। বইয়ের কাভারে করা হয়েছে চমৎকার ডিজাইন। জাতীয় পতাকার রঙ লাল-সবুজ চিহ্ন। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলন-সংগ্রাম ও ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে দেশরত্ন শেখ হাসিনার রাজপথে আন্দোলনরত মিছিলের প্রতিবাদের একটি ছবিও কভারে স্থান পেয়েছে। রয়েছে ছাত্রলীগের বর্তমান লোগো।
সোহাগ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারই নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন গর্বিত কর্মী হিসেবে ছোটবেলা থেকেই সংগঠনটির প্রেমে পড়েছি। শুরু থেকেই আমি জানার চেষ্টা করেছি সংগঠনটির জন্ম, পথচলা, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে এ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবদান সম্পর্কে। নিয়মিত পড়াশোনা ও রাজনীতির পাশাপাশি প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। খুব ইচ্ছা ছিল এ সংগঠন সম্পর্কে আমার অর্জিত জ্ঞানটুকু একটি বই আকারে ছাত্রলীগের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। ’৫২’র ভাষা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। ছাত্রলীগ সম্পর্কে সবার জানা উচিত। ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সংগঠনটির জন্য ১৯৬০ সাল থেকে আজ অবধি ভূমিকা রেখে আসছেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি এ সংগঠনটির গর্বিত কর্মী ছিলেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠনটির ইতিহাস যারা পড়বেন, তারা জানতে পারবেন ছাত্রলীগ কীভাবে জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত সব আন্দোলন-সংগ্রামে সফল হয়েছেন। বইটি পড়লে আমার বিশ্বাস সবার ভালো লাগবে। আর সবার ভালো লাগাই হবে আমার চলার পথে অনুপ্রেরণা।
এমএসএস/জেএইচ/পিআর