বইমেলায় যত অনুষ্ঠান
১৭তম দিনে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চ ও নজরুল মঞ্চ নানা আয়োজনে মুখরিত ছিল। বিকাল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী রফিকুন নবী। আলোচনায় অংশ নেন মফিদুল হক, মইনুদ্দীন খালেদ ও সাজ্জাদ শরিফ। সভাপতিত্ব করেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী।
প্রাবন্ধিক বলেন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পাথেয় করে সম্ভবত কাইয়ুম চৌধুরীই সবচেয়ে বেশি ছবি এঁকেছেন। কখনো সরাসরি বক্তব্যকে প্রধান করে কখনো বা প্রতীকী অবয়বে। এই ছবিগুলি দেশের চিত্রকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।
অন্য আলোচকরা বলেন, পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা কাইয়ুম চৌধুরী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শিল্পের সঙ্গেই ছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের এক সাংস্কৃতিক মহীরূহ। তার চিত্রকলা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে ধারণ করেছে বিপুল বৈভবে।
সভাপতির বক্তব্যে সমরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, সুদীর্ঘকাল ধরে কাইয়ুম চৌধুরীর রেখা ও রঙে বাংলার চিরায়ত প্রকৃতি ও মানুষ যে অনন্য রূপ-ব্যঞ্জনায় ভাস্বর হয়ে উঠেছে তা কখনো বিস্মৃত হওয়ার নয়।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুজতবা আহমেদ মুরশেদের পরিচালনায় সংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্ব-ভূমি’ এবং সালাউদ্দীন বাদলের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। সংগীত পরিবেশন করেন রোকাইয়া হাসিনা, অনিন্দিতা চৌধুরী, মির্জা শামসুল আলম, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, আফরোজ খান মিতা, সাইম রানা, হিমাদ্রী শেখর, শিমু দে প্রমুখ।
বুধবারও বইমেলা শুরু হবে বেলা ৩টায়। চলবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। বিকেলে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। আলোচনায় অংশ নেবেন সামসুল ওয়ারেস, রবিউল হুসাইন এবং তানজিনা হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার।
এআরএস/আরআইপি