ভালবাসা দিবসে বইমেলায় উপচেপড়া ভিড়
বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার বইমেলায় ছিল উপচেপড়া ভিড়। চারটি প্রবেশ দ্বার দিয়ে বানের ঢলের মত মানুষ প্রবেশ করছে মেলা চত্বরে। আগের দিন পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস- এ দু’দিনের বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রকাশকরা।
আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনি বলেন, আজকের (শনিবার) দিনটি তো কথা বলা আর ভালোবাসা আদান-প্রদানের দিন। এমন দিনে বই পড়ার সময় কই! তারপরও বেঁচাবিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। পহেলা ফাল্গুনের দিনও ভালো বিক্রি হয়েছে।
ঐহিত্য’র প্রকাশক আরিফুর রহমান নাঈম বলেন, বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। তবে আজ (শনিবার) থেকে গতকাল (শুক্রবার) পয়লা ফাল্গুনে বিক্রি আরো বেশি হয়েছে।
এদিকে দু’সপ্তাহ পূরণ হলো অমর একুশে বইমেলার। মেলার ১৪তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৪৭টি। এর ফলে দু’সপ্তাহে মোট বই সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯২৯টিতে।
আয়োজক বাংলা একাডেমীর সম্বনয় ও জনসংযোগ উপবিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী এবার মেলার প্রথম ১৪ দিনে সবচেয়ে বেশি এসেছে কবিতার বই- ৪৩৮টি। এর পরেই উপন্যাস- ৩৮৩টি, গল্প ৩১৯টি, প্রবন্ধ ১০৬, ছড়া ৬২টি, জীবনী ৫১টি, গবেষণা ৪৯টি, বিজ্ঞান ৪৩টি, শিশুতোষ ৩৫, ভ্রমন ৩৩, মুক্তিযুদ্ধ ৩২, ইতিহাস ২৮, সায়েন্স ফিকশন ১৭টি, ধর্মীয় ১৭টি, রাজনীতি ১৫টি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ১৫টি, নাটক ১৪টি, রম্য ও ধাঁধা ১০টি, অনুবাদ ৫টি, অভিধান ২টি, কম্পিউটার ২টি, রচনাবলী ১টি এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর ২৫৩টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় মেলার ঝাঁপ খুলেছে সকাল ১১টায়। তবে এবারের মেলার শেষ শিশুপ্রহর থাকায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোরদের সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। প্রতিযোগিতায় ক-শাখায় সাধারণ জ্ঞান বিভাগে ১ম হয়েছেন- দীপাণ্বিতা বিশ্বাস শৈলী, ২য়-হোসাইন এবং ৩য় হয়েছেন আকিবা আফরোজ। খ-শাখায় উপস্থিত বক্তৃতা বিভাগে ১ম হয়েছেন ফারিয়া তাসনিম, ২য়-নামিরা রহমান অনন্যা এবং ৩য় হয়েছেন আনাম আবরার।
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ।
আরএস/আরআই