শিশুলেখক ইসাবা ইলমি প্রিয়তির প্রথম বই
ইসাবা ইলমি প্রিয়তির প্রথম বই ‘হারিয়ে যাওয়া বিড়াল ছানা’। কিডজ কারাভান থেকে প্রকাশিত চারটি মজার গল্পের এই সংকলনের প্রতিটি গল্প যেমন মজার, গল্পের সঙ্গে মিলতাল করে আঁকা ছবিগুলোও তেমন মজার এবং আকর্ষণীয়।
হারিয়ে যাওয়া বিড়াল ছানা, চড়ুই পাখির গান, অপু ও বঙ্গবন্ধু এবং কোরবানির গোরু এই চারটি গল্প দিয়ে সাজানো বইটির প্রতিটি গল্পই শিশু ভাবনার নির্মল বহিঃপ্রকাশ। বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন শিশু চিত্রশিল্পী আরশিয়া আসওয়াদ শ্রেষ্ঠা। শ্রেষ্ঠা পড়ছে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে পঞ্চম শ্রেণিতে।
প্রিয়তির জন্ম লেখক পরিবারে। বাবা শিশুসাহিত্যিক ইমরুল ইউসুফ। দাদা প্রাবন্ধিক গাজী আজিজুর রহমান। মেজ চাচা জাহিদ ইমন এবং ছোট চাচা আসিফ আজিজও নিয়মিত লেখেন। মা শামীমা আক্তার বনানী না লিখলেও পরিবারের সবার লেখার গুণমুগ্ধ পাঠক এবং একজন বিউটিশিয়ান।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বইমেলা
এজন্য প্রিয়তি নিজেই জানে না অ, আ, ক, খ লেখা শিখতে শিখতে কখন তার হাতে সৃষ্টিশীল লেখার কলম উঠেছে। তাই তো মনের অজান্তে কচি হাতে ডায়েরির পাতা ভরিয়েছে ছড়া, কবিতা ও গল্পে। ছবি আঁকার খাতা ভরিয়েছে হরেক রং ও রেখায়।
যদিও গল্প লিখতেই তার বেশি ভালো লাগে। ভালো লাগে বই পড়তে-বিশেষ করে গল্প, উপন্যাস। আর ভালো লাগে ক্রাফটিং, খেলাধুলা, সাঁতার ও ভ্রমণ। মা-বাবার সঙ্গে বসে মজার মজার নাটক, সিনেমা দেখাও প্রিয়তির আনন্দযাপনের সুন্দরতম মুহূর্ত।
প্রিয়তির লেখা গল্প, কবিতা, ছড়া, ছবি আঁকা নিয়মিত ছাপা হচ্ছে প্রথম আলো, ভোরের কাগজ, প্রতিদিনের বাংলাদেশসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং নবারুণ, শিশু, কিশোর বাংলার মতো জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকায়।
আরও পড়ুন: প্রাণ জাগাতে বইয়ের বিকল্প নেই: ইমরুল ইউসুফ
প্রিয়তির জন্ম ঢাকায় ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর। পড়ছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে সপ্তম শ্রণিতে।
তার বইটির মূল্য ২০০ টাকা।
এসইউ/এমএস