ভিডিও EN
  1. Home/
  2. একুশে বইমেলা

গোছানো ও পরিপাটি বইমেলা চাই: রনি রেজা

সালাহ উদ্দিন মাহমুদ | প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৩

রনি রেজা একাধারে কবি, কথাশিল্পী, গীতিকার ও সাংবাদিক। ছোটগল্পের প্রতি তার বিশেষ দরদ। কবিতা, গান, প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখলেও এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত সবগুলো গ্রন্থই গল্পের। গত বইমেলায় প্রকাশিত তার গল্পগ্রন্থ ‘খালুইভর্তি হাহাকার’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। বর্তমানে তিনি ডেইলি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া বিভিন্ন দৈনিকে কলাম লিখছেন নিয়মিত। তার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নন্দিত অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী ফজলুর রহমান বাবু, কামরুজ্জামান রাব্বী, এসএম রুবেল প্রমুখ।

সম্প্রতি বইমেলা ও বই প্রকাশ সম্পর্কে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি ও কথাশিল্পী সালাহ উদ্দিন মাহমুদ—

জাগো নিউজ: আগামী বইমেলায় আপনার কয়টি বই প্রকাশিত হচ্ছে?
রনি রেজা: আপাতত একটি পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করেছি। এবছর বইমেলায় উপন্যাস আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু উপন্যাসটি এখনো শেষ করতে পারিনি। তাড়াহুড়ো করে শেষ করতেও চাচ্ছি না। বেশ কয়েকটা নতুন গল্প লেখা হয়েছে। কিন্তু বই করার জন্য যথেষ্ঠ মনে হচ্ছে না। বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত গণমাধ্যমের ওপর লেখা কিছু কলাম রয়েছে। এ নিয়ে একটি পাণ্ডুলিপি আপাতত প্রস্তুত আছে। সব ঠিক থাকলে এটি প্রকাশ হতে পারে।

আরও পড়ুন: বইয়ের প্রচারণাকে আমি ইতিবাচক মনে করি: মোহাম্মদ নূরুল হক

জাগো নিউজ: বাংলা একাডেমি আয়োজিত আগামী বইমেলা কেমন দেখতে চান?
রনি রেজা: গোছানো, পরিপাটি ও সুশৃঙ্খল একটা বইমেলা চাই। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের বইমেলায় স্টলবিন্যাস আরও পরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খল হতে পারে। মেলায় আয়োজক কর্তৃপক্ষের কিছু সক্রিয় সেচ্ছাসেবী থাকতে পারে। সেচ্ছাসেবী নিশ্চয়ই আছে, এজন্য আমি সক্রিয় শব্দটি ব্যবহার করলাম। প্রতি বছরই দেখা যায় মেডিক্যাল ক্যাম্প থাকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় না। আমি নিজে একাধিকবার গিয়েও পাইনি। শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি কিছু ভলান্টিয়ার থাকলে সুবিধা হবে।

জাগো নিউজ: আপনার দেখা বিগত বইমেলায় কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েছে?
রনি রেজা: ওই যে বললাম, স্টল বিন্যাসে আরও পরিকল্পনা থাকতে হবে। অগোছালো মনে হয়। একেকটা স্টল খুঁজতেই অনেক সময় খরচ হয়ে যায়। দৃষ্টিনন্দনও হতে পারে। মেডিক্যাল ক্যাম্পের কথাও তো বললাম। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে খাবারের উচ্চমূল্য। এ বিষয়ে খাবার বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল—তাদের স্টল বরাদ্দ নিতে অনেক বেশি টাকা গুনতে হয়েছে। এ জায়গাটায় মেলা কর্তৃপক্ষ একটু ছাড় দিতে পারে। প্রয়োজনে স্পন্সর বাড়িয়ে নিক। কিন্তু খাবারের স্টল থেকে অল্প টাকা নিয়ে মূল্য নির্ধারণ করে দিলে সবার জন্য ভালো। সবার জন্য বলতে লেখক-প্রকাশকের জন্যও। একজন সাধারণ দর্শনার্থী যখন মেলায় গিয়ে চড়া মূল্যে খাবার খেয়ে টাকা খরচ করে ফেলেন; তখন আর বই কেনার আগ্রহ থাকে না। এছাড়া মেলা থেকে বের হয়ে কিছু খেয়ে আবার মেলায় প্রবেশ করাটাও ঝক্কির। এটা কেউই করতে চায় না সম্ভবত।

আরও পড়ুন: লিখতে চান অনেকেই কিন্তু পড়তে চান কম: শফিক হাসান

জাগো নিউজ: বইমেলায় বইয়ের বিক্রি বাড়ছে নাকি কমছে?
রনি রেজা: বেড়েছে। তবে আশানুরূপ নয়। আপনি আলাদাভাবে কথা বলে দেখুন—অধিকাংশ প্রকাশক বিক্রি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অনেকে তো বলেন, তাদের স্টল ভাড়া, নির্মাণ, মেলা খরচ—এসবই ওঠে না। তারপরও কেন স্টল নেন? টিকে থাকতে। এই টিকে থাকার অর্থ হলো মেলায় স্টল নেওয়াকে পুঁজি করে অন্যভাবে নিশ্চয়ই ব্যবসা রয়েছে। সেটা অনেকটা এখন স্পষ্ট। লেখকের থেকে টাকা নিয়ে বই ছাপেন। মানের বিবেচনা করার সুযোগ থাকে না। অনেক প্রকাশকই এখন এই পলিসিতে ব্যবসা করছেন। এতে সাহিত্যের মূল ক্ষতিটা হয়ে যাচ্ছে।

জাগো নিউজ: বইয়ের প্রচারণাকে কোন দৃষ্টিতে দেখেন?
রনি রেজা: বই তো বিক্রিযোগ্য পণ্য। আর পণ্যের প্রচারকে ভিন্ন কোনোভাবে দেখার সুযোগ আছে বলে মনে করি না। তবে এখানে ভূমিকা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। এখন অধিকাংশ প্রকাশকেরই প্রচারে তেমন ভূমিকা চোখে পড়ে না। তারা বই ছেপেই পার। এখানে দু’পক্ষেরই সমান ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করি। একটা কথা প্রচলিত আছে—প্রচারেই প্রসার। সাহিত্যের প্রসার তো খুবই জরুরি।

জাগো নিউজ: বইমেলার পাঠকের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
রনি রেজা: পাঠকের জন্য পরামর্শ হচ্ছে—অবশ্যই বেশি বেশি বই কিনতে হবে এবং পড়তে হবে। লেখকের নাম না কিনে বই কেনার পরামর্শও থাকলো।

এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন