ভিডিও EN
  1. Home/
  2. একুশে বইমেলা

বইমেলা

বিক্রি কম হলেও লাখো মানুষের আগমনে খুশি প্রকাশকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২৮ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

অমর একুশে বইমেলায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের ঢল নেমেছে আজ মঙ্গলবার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে এদিন সকাল ৮টা থেকে খোলা হয় মেলা প্রাঙ্গণ। এতে সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা শেষে বইমেলায় আসতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। দিনভর প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রবেশ করে অমর একুশে বইমেলায়। একদিনে এত মানুষ মেলায় প্রবেশ করলেও তাদের অধিকাংশই ফিরেছেন খালি হাতে। অর্থাৎ তারা কোনো বই কেনেননি। বইমেলায় বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, মানুষের ঢলে বাঙালির প্রাণের বইমেলায় ফিরেছে প্রাণ। তবে মেলায় আগত মানুষের তুলনায় বই বিক্রি কম।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে।

আরও পড়ুন: প্রাণ ফিরেছে বইমেলায়, একদিনেই ১০ লাখ মানুষের সমাগম

বইমেলার আজ ২১তম দিন। মেলার বাকি আর মাত্র সাতদিন। এসময়ে মেলায় যেমন বেড়েছে নতুন বই, তেমনই বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থী। ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থী বাড়ে কয়েকগুণ। ছুটির দিন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হওয়ায় আজ যেন মেলায় মানুষের ঢল নামে। তবে মেলায় আজ যেই হারে মানুষ এসেছে সেই হারে বই বিক্রি হয়নি। অনেকেই মেলায় আসেন ঘুরতে। ফলে ফেরার সময় খালি হাতেই ফিরেছেন তারা।

মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে বাংলা একাডেমি সংলগ্ন গেটে সন্ধ্যায় বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখা গেছে, শত শত মানুষ বের হচ্ছেন মেলা থেকে, কিন্তু বই কিংবা বইয়ের ব্যাগ হাতেগোনা কয়েকজনের হাতে। মেলায় ঘুরে অনেকটা ক্লান্তি নিয়েই ফিরেছেন অনেকে।

রাজধানীর বাসাবো থেকে মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে আসা খন্দকার সালাউদ্দিন মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বই প্রকাশনা উৎসবের সামনের স্টলের বেঞ্চে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। দীর্ঘ সময় হেঁটে ক্লান্ত তার নাতনি তায়েশা ইসরাত খন্দকার। নাতনিকে নিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময় খন্দকার সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আজ বিশেষ দিন (শহীদ দিবস) হওয়ায় নাতনি ও মেয়েকে নিয়ে বেরিয়েছি। শহীদ মিনার, অমর একুশে বইমেলা ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যেই ইতিহাস তা নাতনিকে দেখাতে এসেছি। পুরো এলাকা ঘুরেছি নাতনিকে নিয়ে। বেশ ভালো লাগছে তাকে এসব দেখাতে পেরে।

বিক্রি কম হলেও লাখো মানুষের আগমনে খুশি প্রকাশকরা

আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে বইমেলায় ছুটছে মানুষ

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আসা তাবাসসুম মীম জাগো নিউজকে বলেন, বান্ধবীরা মিলে ঘুরতে আসলাম। প্রথমে শহীদ মিনারে গিয়েছি। সেখান থেকে মেলায় এসে পুরো এলাকা ঘুরে দেখলাম।

ফরহাদ হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি জাগো নিউজকে বলেন, মেলায় ঘুরতে আসলাম আজ। এ বছর বইয়ের দাম বেশি, কেনার আগ্রহ ও প্রস্তুতি ছিল না। শেষ দিকে হয়তো পছন্দের বই কিনবো।

মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরাও বলছেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ মেলায় অনেক বেশি মানুষ এসেছে। কিন্তু মানুষ বেশি হলেও বিক্রি কম।

ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আব্দুর রব জাগো নিউজকে বলেন, মেলায় সকাল থেকেই আজ মানুষের সমাগম বেশি। তবে সেই তুলনায় বই বিক্রি কম। মানুষ আসছে, বই দেখে ঘুরে চলে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ছবি তুলেছি ভিডিও করেছি বই কিনিনি

জিনিয়াস পাবলিকেশন্সের বিক্রয়কর্মী মশিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকেই বিক্রি কিছুটা শুরু হয়। তবে আজ মেলায় যেই হারে মানুষ এসেছে, সেই তুলনায় বিক্রি কম।

তবে বিক্রি যাই হোক, মেলায় এত মানুষ দেখে খুশি অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলান নাথ। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, মেলায় আজ প্রাণ ফিরেছে। প্রচুর মানুষ এসেছে। সেই তুলনায় বই বিক্রি কম- তা ঠিক। কিন্তু মেলায় মানুষ আসবে, ঘুরে বই দেখবে আর একটা দুইটা বই কিনে নিয়ে যাবে- এটাইতো হওয়ার কথা। মানুষ আসছে এটাই ইতিবাচক। আর বই কেনারও একটা বাজেট থাকে মানুষের। এ বছর বইয়ের দাম বেড়েছে। তাই আগে যেখানে পরিবারের সবার জন্য একটা দুইটা বই কিনে নিয়ে যেতো, এখন সেটা অনেকে করতে পারছেন না। তবে কিছু বই বিক্রি হচ্ছে।

আরএসএম/কেএসআর/জেআইএম