আল মাহমুদ নেই, আছে তাঁর নতুন ৫ বই
‘সোনালি কাবিন’র কবি আল মাহমুদ আমাদের মাঝে নেই। তিনি চলে গেলেন ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। বসন্ত-ভালোবাসার আবেশ গায়ে মেখে। বইমেলার নতুন বইয়ের গন্ধ গায়ে মেখে। তিনি আসবেন না কখনো অমর একুশে বইমেলায়। আসবেন না সৌম্য দৃষ্টি নিয়ে। লোকান্তরের পথে তাঁর অবিরাম যাত্রা এখন।
যে যায়-সে যায়, তবে তার কর্ম তো রয়ে যায়। কর্মই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন পাঠকের মাঝে। খড়ের গম্বুজের আড়ালে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে তাকে। খুঁজলেই পাওয়া যাবে তাঁর নতুন পাঁচটি বই। কবির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে নতুন পাঁচটি বই আনছে সরলরেখা প্রকাশনী।
সরলরেখার পরিচালক কবি নাজমুস সায়াদাত জানান, কবির অপ্রকাশিত পাঁচটি পাণ্ডুলিপি আমরা পেয়েছি। ইতোমধ্যে ‘সহোদরা’ ও ‘রাগিণী’ নামে ক্ষুদ্রায়তনের দুটি উপন্যাস পাঠকের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে, প্রকাশিত হয়ে। এছাড়া তাঁর মহাকাব্য ‘এ গল্পের শেষ নেই শুরুও ছিল না’, নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘ইতিহাস দেখো বাঁক ঘুরে গেছে ফের ইতিহাসে’ এবং ছড়ার বই ‘আমার নামে ডাকছে পাখি’ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
কবির জীবনের গোধূলি লগ্নের ছায়াসঙ্গী ও সহলেখক হিসেবে শেষ তিনটি বইয়ের গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন কবি আবিদ আজম। তিনি বলেন, ‘প্রাণের ফেব্রুয়ারিতে আনন্দের ভেতর যে আকস্মিক এমন কঠিন শোক উপস্থিত হতে পারে, আমি কি তা কখনো কল্পনা করেছি? গত বছরের বইমেলার এ দিনগুলোতে আমি যখন কিংবদন্তির একাধিক বই প্রকাশের চেষ্টায় ব্যস্ত; ঠিক তখনই লোক থেকে লোকান্তরে চলে গেলেন ভাষার জন্য ফেরার হওয়া কবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু প্রকাশকের অসহায়তায় কবি আর নতুন বইয়ের পালক-মোড়ক ছুঁতে পারেননি, শেষবারের মতো। আর কখনো বাংলার মাটিতে, বইমেলাতে ফিরবেন না বাংলা সাহিত্যের সর্বব্যাপ্ত অধীশ্বর আল মাহমুদ। নতুন লেখার জন্য আমার আর তাঁকে জ্বালানোও হবে না কোনদিন। তবুও মুক্তিযুদ্ধের এই মহত্তম প্রাণের স্মৃতির সৌরভ ছড়িয়ে দিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখছি না।’
কবির প্রকাশিত নতুন বইগুলো সরলরেখা প্রকাশনা সংস্থার ৬১৮ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে। নিজের কালজয়ী সব কীর্তির ভেতর সৌরভ ছড়াতে থাকবেন কবি। আল মাহমুদ প্রাণহীন হলেও সবচেয়ে বেশি এখনো তিনি ছড়িয়ে আছেন প্রাণে প্রাণে। হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরে।
এসইউ/জেআইএম