ভালোবাসার রঙ লেগেছে বইমেলায়
ফুল ফুটছে খোঁপায় খোঁপায়। রঙ ছড়াচ্ছে শাড়ির আঁচল আর পাঞ্জাবিতে। সেই রঙে রঙিন অমর একুশে বইমেলা। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে লাল পোশাকের আধিক্য যেখানে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পুরো বইমেলার জুড়েই এমন চিত্র।
হাতে লাল গোলাপ, গায়ে লাল শাড়ি বা লাল জামা। তরুণরা পড়েছেন লাল পাঞ্জাবি বা ফতুয়া। লাল শাড়ি বা জামার সঙ্গে তরুণীদের কপালে লাল টিপ। শুধু তরুণ-তরুণীরা নন, আজ লাল পোশাকে মেলায় আসতে ভুল করেননি বৃদ্ধা-শিশুরাও। আবার কারো কারো পোশাকে ছিল হলুদের ছোঁয়াও। ফাগুনের আগুন এখনও জিইয়ে রেখেছেন তারা। এক কথায় অমর একুশে বইমেলার ১৪তম দিনে মেলার সর্বত্রই রঙের ছড়াছড়ি। ভালোবাসার রঙে রঙিন হয়েছে বইমেলা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি। দল বেঁধে, জুটিবদ্ধ হয়ে বইমেলায় প্রবেশ করছেন তরুণ-তরুণী থেকে শিশু ও বয়ষ্করা। টার্গেট করে ঘুরছেন বইয়ের স্টলে স্টলে। পছন্দের বই কিনছেন, কিনে দিচ্ছেন।
ভালোবাসা দিবস বলে অন্য দিনের চেয়ে একে অন্যকে বই কিনে দেয়ার হার আজ একটু বেশিই। ফলে বেচাবিক্রিও হচ্ছে ভালো। স্টলের বিক্রয়কর্মীরাও জানান, মেলায় আজকে বই বিক্রিতে তারা সন্তুষ্ট। আশা করছেন, এ ধারা আরও কয়েকদিন বজায় থাকবে। বই বিক্রির পরিমাণও বাড়বে।
সময় প্রকাশনীর সামনে কথা হয় মইনুল-দীপীতা নামের এক কাপলের সঙ্গে। জানান, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী। ভালোবাসা দিবসে বইমেলা থেকে মইনুলকে একটি বই কিনে দিয়েছেন দীপীতা। মইনুলও দীপীতার জন্য পছন্দের বই খুঁজছেন।
জাগো নিউজকে দীপীতা বলেন, আজকের দিনটি তো আমাদের জন্য স্পেশাল। রিলেশনশীপের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ভালোবাসা দিবস উদযাপন করছি। ভালো লাগছে। বইমেলায় আসছি, একে অন্যকে বই উপহার দেব।
মেলার বাংলা একাডেমির লিটলম্যাগ চত্বরে কথা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরাফুলের সাথে। তিনি বলেন, বান্ধবীকে নিয়ে বইমেলায় এসেছি। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখছি। পছন্দের বই পেলে ওকে উপহার দেব।
উত্তরার বাসিন্দা ব্যবসায়ী রহমত উল্লাহ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বইমেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, আজকের দিনটি তো স্পেশাল। তাই নিজের ব্যবসায়িক কাজে সময় কমিয়ে পরিবারকে নিয়ে বইমেলায় এসেছি।
এমএইচ/আরএস/এমকেএইচ