রূপ বদলেছে বইমেলার
মেলার রূপ বদলে গেল ছুটির দুদিনেই। শুক্রবার-শনিবার তিলধারণের ঠাঁই ছিল না মেলাপ্রাঙ্গণে। বইপ্রেমীদের পদচারণায় এ দুদিন যেন মহাসম্মেলন হয়ে গেল বাংলা একাডেমি চত্বর আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
বইয়ের মেলা, প্রাণের মেলার নবম দিন ছিল আজ (শরিবার)। ১ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধনের দিনও ছুটির দিন ছিল। তবে সেদিন ঠিক জমে ওঠেনি প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নিরাপত্তার কারণে। পরের দিন শনিবার উপচেপড়া ভিড় ছিলই বটে। আর গতকাল শুক্রবার মেলা একেবারেই স্বরূপে ফেরে। এদিন সকালে ছিল শিশুপ্রহর। সকাল ১১টায় শুরু হয়ে এ আয়োজন চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
আজ শনিবারও ঠিক তাই ছিল। সকালে যারা এসেছিলেন, তাদের অনেকেই বিকেলের মেলাতেও অংশ নেন। শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও দিনভর উপভোগ করেন নতুন বইয়ের গন্ধ। আর বাকিরা যেন অধীর অপেক্ষায় ছিলেন আগে থেকেই। মেলার দ্বার খোলার পর থেকেই দীর্ঘলাইনে যোগ দেন সাহিত্যের মানুষরা।
একে তো ছুটির দিন। তাতে আবার ফাগুনের আগমনী হাওয়া। এমন দিনে কে না চায় প্রাণের মেলায় অংশ নিতে! বই কেনা, আড্ডা, বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো সবই তো হয় বইমেলায়।
গাজীপুর থেকে সঙ্গী নিয়ে বইমেলায় এসেছেন আবু তালহা শামীম। পছন্দের বই কিনে ফুড কর্নারে আড্ডা দিচ্ছিলেন পড়ন্ত বিকেলে। বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। মেলার প্রেমে পড়া তখন থেকেই। ছুটির দিন ছাড়া এখন আর আসা হয় না। শুরুর দিকেই আসলাম, ভিড় কম হবে বলে। তবে মেলায় এসে ধারণা পাল্টে গেল। মেলাটি যে আজ সমস্ত বাঙালিকে নাড়া দেয় তারই প্রমাণ দেখলাম। ছুটির দিন হলেও শুরুর দিকে ঠিক এমন হয় না। ভালো লাগছে এবারের আয়োজন দেখেও।
অনন্যা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মনিরুল হক বলেন, সময়টা ভালো। শীত-গরম কোনোটাই বেশি নয়। ফাগুন আসছে, তারই জানান দিচ্ছে গেল দুদিন ধরে উদাস করা বাতাসে। শুক্রবার, শনিবার মেলার চিত্র পাল্টে গেছে। প্রচুর মানুষ আসছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ। যদিও শুরুর দিকে বইয়ের সঙ্গে পরিচিতি পর্বটাই মুখ্য হয়ে ওঠে।
এএসএস/বিএ/এমকেএইচ