ভিডিও EN
  1. Home/
  2. একুশে বইমেলা

অনুমতি ছাড়া শহীদ কাদরীর বইয়ের প্রকাশনা বন্ধের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত কবি শহীদ কাদরী রচিত বই তার পরিবারের অনুমতি ছাড়া প্রকাশনা ও বিক্রি বন্ধের দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শহীদ কাদরীর একমাত্র সন্তান আদনান কাদরীর অনুমতি না নিয়ে অবৈধভাবে কবির বই প্রকাশনা অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এ নিয়ে ফেসবুকে অনেক প্রতিবাদ হয়েছে। দেশের বহু পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় এ বিষয়ে প্রতিবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এত কিছুর পরও বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের অগোচরে প্রকাশকরা বইগুলি অবৈধভাবে বিক্রি করছে। তাই আমরা আবারও বাংলাদেশের এত বড় একজন কবির বই অনুমতি ছাড়া প্রকাশনা ও বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।

বক্তারা আরও বলেন, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নবযুগ প্রকাশনী প্রকাশ করে ‘শহীদ কাদরীর কবিতা সমগ্র।’ পরে সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমা প্রকাশনী প্রকাশ করে ‘গোধুলির গান’ এবং বেঙ্গল পাবলিশার্স প্রকাশ করে ‘একটি আঙটির মত তোমাকে পরেছি স্বদেশ’। এই তিন প্রকাশকের কেউই শহীদ কাদরীর একমাত্র সন্তান আদনান কাদরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি এবং তার অনুমতিও নেয়নি। ইতোমধ্যে বেঙ্গল পাবলিশার্সকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে তিনটি প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করা হয়েছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে, বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এমন অনৈতিক কাজ করে প্রকাশকরা মেলা প্রাঙ্গণকে কলুষিত করেছে। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে কয়েকজন লেখক-প্রকাশক ও কবি। গত দুই সাপ্তাহ যাবৎ প্রতিবাদ স্বত্বেও তারা এ ধরণের নোংরা কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এবং বইমেলাকে এ ধরণের অপকর্ম থেকে রক্ষার দাবি জানায়।

প্রসঙ্গত, শহীদ কাদরী (১৪ আগস্ট ১৯৪২ - ২৮ আগস্ট ২০১৬) ১৯৪৭ পরবর্তী বাঙালি কবিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যিনি নাগরিক জীবন সম্পর্কিত শব্দ চয়নের মাধ্যমে বাংলা কবিতায় নাগরিকতা ও আধুনিকতাবোধের সূচনা করেছেন। তিনি আধুনিক নাগরিক জীবনের প্রাত্যহিক অভিব্যক্তির অভিজ্ঞতাকে কবিতায় রূপ দিয়েছেন। দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতা, মানবতাবোধ এবং প্রকৃতি ও নগর জীবনের অভিব্যক্তি তার কবিতার ভাব, ভাষা, শব্দ, ছন্দে পাওয়া যায়। তাছাড়া তার কবিতায় অনুভূতির গভীরতা, চিন্তার সূক্ষ্মতা ও রূপগত পরিচর্যার পরিচয় সুস্পষ্ট।

বাংলা কবিতায় অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১১ সালে ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন।

শহীদ কাদরী ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট নিউইয়র্কে মারা যান।

এমএইচ/এমবিআর/আইআই

আরও পড়ুন