নারীরা প্রকৃত সম্মান-মর্যাদা পাচ্ছে না
নারীর অবস্থা এখন অনেক উন্নত হয়েছে এমন একটি প্রচার-প্রচারণা থাকলেও নারীরা প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা আজো পাচ্ছে না। নারীর স্বাধীনতা দূরে থাক নারীর সচেতনতাকেও ঔদ্ধত্য বলে গণ্য করা হয়। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার সবার।
মঙ্গলবার বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘নারীর নিরাপদ পরিসর ও পরিবেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুশি কবির। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুলতানা কামাল, হোসনে আরা শাহেদ, সুভাষ সিংহ রায় এবং নূরুন্নাহার মুক্তা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়শা খানম।
প্রাবন্ধিক বলেন, পরিবারে নারীর অবস্থানকে কেন্দ্র করেই নারীর পরিসর তৈরি হয়। নারীর আত্মসম্মান ও মর্যাদাবোধ গড়ে ওঠে পরিবারে প্রতিষ্ঠিত নারীর অবস্থানের ওপর ভিত্তি করেই। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পরিবারের মধ্যেও নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব প্রাধান্য পায়। পরিবারে নারীর অবস্থান যদি নড়বড়ে থাকে তাহলে নারীর আত্মবিশ্বাসের অভাব ও নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন যতই হোক জনগণের অর্ধেক যখন নারী তখন নারীর উন্নয়ন না হলে আর সব উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। যেদিন আমরা নারীকে মানুষ হিসেবে চিনতে শিখবো সেদিন নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর হয়ে সমতা সৃষ্টি হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আয়শা খানম বলেন, নারীর জন্য পরিসর তৈরির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যেখানে নারীরা নানাভাবে অবদান রেখে গেছেন। নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির সংগ্রামে নারীর পাশাপাশি পুরুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্র, পরিবার ও সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করে পুরুষের সঙ্গে সমতার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সন্দীপন দাস, আঞ্জুমান আরা শিমুল, কাজী মুয়ীদ শাহরিয়ার সিরাজ জয়। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন রাজু চৌধুরী (তবলা), তানভীর সজীব (কী-বোর্ড) এবং এনামুল হক টিঙ্কু (গীটার)।
এমএইচ/এএসএস/জেডএ/আইআই