ফরিদ ছিফাতুল্লাহর কবিতার বই ‘রোদ বুনি ছায়াপথে’
কবি নয়, নিজেকে ‘কবিতাকর্মী’ ভাবেন ফরিদ ছিফাতুল্লা। একটা মাত্র জীবন মানুষের, আর সেটি এই মর্ত্যজীবন -এমন জাগতিকবোধ তুলে ধরেন তার কবিতা, ভাবদর্শন আর শিল্পচেতনায়। মর্ত্যজীবনে বিশ্বাসী এই কবির কাব্যগ্রন্থ ‘রোদ বুনি ছায়াপথে’ বেরিয়েছে এবারের বইমেলায়।
বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে লিটল ম্যাগ চত্বর লাগোয়া বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের স্টলে। স্টল নম্বর ১৬। এটি বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান 'লেখক প্রকাশ' এর প্রথম প্রকাশনা। এটি লেখকেরও প্রথম গ্রন্থ।
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মাসুম হাসান। ফ্ল্যাপ লিখেছেন ‘জাতিসত্তার কবি’ মুহম্মদ নূরুল হুদা। বইটির মূল্য ধরা হয়েছে ২০০ টাকা। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪।
৫৪টি কবিতা দিয়ে সাজানো বইটি। অধিকাংশই প্রেমের কবিতা। বিষয় বৈচিত্রে এই সময়ের প্রাযুক্তিক প্রেম ধরা পড়েছে অধিকাংশ কবিতায়। নর-নারীর মানবীয় প্রেমে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি, সামাজিক মাধ্যম ইত্যাদির অনুষঙ্গগুলো স্থান পেয়েছে। যারা বিষাদবিলাস লালন করেন তাদের ভাল লাগবে কবিতাগুলো।
সূর্যের রোদ বেড়ে ওঠা এই কবি তার ভাবদর্শন বুনতে চেয়েছেন দূর ছায়াপথে। তিনি নিজেকে অনন্ত অসীম একরৈখিক এক কালরেখাপথের যাত্রী হিসেবে নিজের চিন্তাদর্শন নিয়ে হাজির হয়েছেন তার 'রোদ বুনি ছায়াপথে' কাব্যগ্রন্থে।
প্রেমের সঙ্গে প্রকৃতিও স্থান পেয়েছে কিছু কবিতায়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু, জাতীয় সংগীত, বাবা-মা, হলি আর্টিজানের উপর আছে কয়েকটি কবিতা।
ইথার ও ইশারায় প্রেমাষ্পদের বিরহজাত গভীর বিষাদ মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো করে উপস্থাপিত হয়েছে কবিতায়। কবিতার শরীর নির্মাণে তিনি প্রথাগত ছন্দ প্রকরণ এবং আঙ্গিক অনুসরণ করবার চেষ্টা করেছেন। ছন্দের চিরায়ত কারুকাজ তার কবিতায় লক্ষ্য করবার মতো।
ফরিদ ছিফাতুল্লাহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে কর্মরত। জন্ম রংপুরে। রংপুরেই কেটেছে স্কুল ও কলেজ জীবন। তারপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে পড়েছেন এক বছর। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স করেছেন।
পেশাগত কর্মব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকেই লেখালেখি করেন তিনি। লেখালেখিকে মানুষের সঙ্গে জীবন ও জগত সম্পর্কে নিজের ভাবনা বিনিময়ের মাধ্যম মনে করেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার অসংখ্য কলাম ছাপা হয়েছে।
এমবিআর/জেআইএম