ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

এনসিটিবি চেয়ারম্যান পদ থেকে রিয়াজুলকে সরালো সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০৫ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

সমালোচনার মুখে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসানকে সরিয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শেষ সময়ে মেয়াদ না বাড়িয়ে অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার সুবিধার্থে তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে সই করেন উপসচিব মো. মাহবুব আলম।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসানকে পিআরএলে গমনের সুবিধার্থে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাউশির বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হলো।

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ায় রোববার আওয়ামী লীগপন্থি এ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার পিআরএলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান পদে আঁকড়ে থাকতে কয়েক মাস ধরে তদবির করছিলেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে আরও তিনমাস চেয়ারম্যান পদে রাখার সব বন্দোবস্তও করেছিল।

তবে এনসিটিবি কর্মকর্তা ও অভিভাবকদের ক্ষোভ এবং গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে মন্ত্রণালয়। এ জাগো নিউজে শনিবার ‘আওয়ামী লীগপন্থি রিয়াজুলই থাকছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। অবশেষে তার মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো সরকার।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ এনসিটিবিতে সদস্য (প্রাথমিক) পদ পান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান। ডা. দীপু মনির সময়েও তিনি সাড়ে চার বছর এ পদে চাকরি করেন। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম ও সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোয় ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে তাকে ওএসডি করা হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তদবির করে তিনি নিজেকে ‘বৈষম্যের শিকার’ দাবি করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে কর্মজীবনে তিনি সবসময় আওয়ামী লীগের পরিচয়ে লোভনীয় ও লাভজনক পদ বাগিয়েছেন। তিনি শেরপুর সরকারি কলেজ ও ঢাকার মিরপুর বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ পদেও ছিলেন। তাছাড়া তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর আপন মামাতো ভাই। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে বিশেষ সখ্যর কারণে একাধিকবার বিদেশ সফরের সুযোগও বাগিয়ে নেন।

এএএইচ/ইএ

বিজ্ঞাপন