ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের গুরুত্বের সঙ্গে গবেষণা শেখানো হয়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কী ভেবে শিক্ষার্থীরা লোক প্রশাসন বিভাগ পছন্দ করবেন, কী আছে এর কারিকুলামে, এসব নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরুল মোমেন

লোক প্রশাসনে একজন শিক্ষার্থীকে কী কী পড়ানো হয়?

আমাদের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ৪৬টি টট কোর্স পড়ানো হয়, এর অনেকগুলো কোর্স বাংলাদেশের লোক প্রশাসন, দেশের সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নের ইস্যুগুলোকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা করা হয়। আমরা জানি যে, আমাদের দেশের সরকারি নীতি বাস্তবায়নে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। একজন শিক্ষার্থীর যদি এ বিষয়ে একাডেমিক ধারণা রাখে, তাহলে সে যখন সরকারি-বেসরকারি বা কোনো ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের পেশাজীবী হবে, তখন এই একাডেমিক জ্ঞানটা তারা প্রয়োগ করবে। এই জ্ঞানের মাধ্যমেই তারা দেশের স্বার্থে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে।

এই বিভাগের কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের জন্য কতটা সহায়ক?

লোক প্রশাসনের কারিকুলাম একেবারেই সমসাময়িক। লোকনীতি ও সরকারি প্রশাসন সংক্রান্ত অনেকগুলো বিষয় ‍নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক হয় আমাদের বিভাগে। আমার মনে হয় যে, এই বিষয়গুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

পড়াশোনা শেষে কোন কোন পেশায় যাওয়া যায়?

এই বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমাদের অ্যালামনাইরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি খাত ও এনজিও-আইএনজিও সেক্টরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আর আমাদের এই কারিকুলাম যে তাদের পেশাজীবনে সহায়তা করছে, তা তারা বিভিন্ন সময়ই আমাদের জানিয়েছে। কিছু ইমার্জেন্সি সেক্টর আছে, যেমন ব্যাংকিং সেক্টর। এ রকম সেক্টরের শীর্ষ পদগুলোতেও আমাদের শিক্ষার্থীরা সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তবে এ কথাও সত্য যে, বাংলাদেশের চাকরির বাজারে এই বিষয়ের গ্র্যাজুয়েটদের একটা বড় রকমের সংকট আছে।

গবেষণার ক্ষেত্রে লোক প্রশাসন বিভাগের ভূমিকা কী?

আনন্দের সঙ্গে বলতে চাই, দেশের বেশ কিছু লিডিং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ও ফুলটাইম রিসার্চ ফ্যাকাল্টি হিসেবে কাজ করছে। এবং সুনামের সঙ্গে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে। আমাদের কারিকুলামেও শিক্ষার্থীদের গুরুত্বের সঙ্গে গবেষণা শেখানো হয়। এখানে তারা কোয়ান্টিটেটিভ, কোয়ালিটেটিভ ও মিক্সড্ মেথড সবগুলো পদ্ধতিতেই গবেষণা করা শেখে হাতে-কলমে। এই বিষয়গুলো তাদের কর্মক্ষেত্রে বড় ধরণের ভূমিকা রাখছে গবেষণা করার ক্ষেত্রে।

এর গ্র্যাজুয়েটরা সরকারি চাকরি ছাড়া আর কী কাজ করতে পারেন?

অনেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। নিশ্চিতভাবে সংখ্যা বলতে পারবো না, কিন্তু বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান, মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান, জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট অর্গানাইজেশন, আইএলও, আইওএম প্রভৃতিতে আমাদের অ্যালামনাইরা সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

বর্তমানে কর্মরত লোক প্রশাসকদের এই বিভাগ কী দিচ্ছে?

আমাদের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার আছে। সেখানে ডেডিকেটেড পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। যারা সিভিল সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন, তাদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংসহ বিভিন্ন অ্যাডভান্স লেভেলের ট্রেনিংও সেখানে দেওয়া হয়। এসব প্রশিক্ষণের কারিকুলামের মধ্যে স্নাতক কারিকুলামের বড় একটা অংশ দেখতে পাবেন। তাই পড়াশোনা ও চাকরির মধ্যে একটা সামঞ্জস্য আমরা সেখানে দেখতে পাই। এই বিভাগে পড়ে কেউ যদি সিভিল সার্ভিসে যায়, তাহলে এই প্রশিক্ষণগুলো তার জন্য অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এমনকি একদম নতুন কোনো বিষয় তাদের সামনে পড়ে না।

এএমপি/জিকেএস