ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

স্কুলে যাচ্ছে ৬ কোটি পাঠ্যবই, অনলাইনে মিলবে সব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:২০ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হবে। সেজন্য ডিসেম্বরের শেষ দিনেও রাত পর্যন্ত কাজ করছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। তারপরও সাত ভাগের মাত্র এক ভাগ বই ছাপিয়ে দেশের বিভিন্ন উপজেলার স্কুলে পাঠাতে পেরেছেন।

সব বই ছাপা না হওয়ায় সব শিক্ষার্থী শুরুতে বইও হাতে পাবে না। এমনকি কোনো কোনো শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই পেতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬২ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই ছাপার কাজ চলমান। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ছাপা শেষ হয়েছে মাত্র ৬ কোটি ৬ লাখ। এসব বই বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা অফিসে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে বই স্কুলে স্কুলে বণ্টন হওয়ার কথা।

তবে ছাপা শেষ হওয়া ৬ কোটি ৬ লাখ বই যে বুধবারের (১ জানুয়ারি) মধ্যে স্কুলে পৌঁছানো যাবে, সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছে না এনসিটিবির কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, শেষ পর্যন্ত ছাপানো এসব বই সময়মতো পৌঁছানো সম্ভব নাও হতে পারে। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যে ৬ কোটি বই বিতরণ করা সম্ভব হবে।

এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ৩২৩ উপজেলার বইয়ের ছাড়পত্র (পিডিআই) দিয়েছি। সব উপজেলায় যে আগামীকাল যথাসময়ে বই পৌঁছাবে সে নিশ্চয়তা নেই। বইভর্তি ট্রাক যাচ্ছে, সেই ট্রাকে হয়তো একসঙ্গে তিন উপজেলার বই আছে। একটা একটা করে উপজেলায় বই নামিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। কোনো উপজেলায় যদি মধ্যরাতে যায়, তাহলে দেখা যাবে সেখানে বই রিসিভ করার লোক নেই। তখন তো দেরি হবে। সেজন্য স্পষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দু-একদিনের মধ্যে সব উপজেলায়ই কিছু না কিছু বই চলে যাবে।’

জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সব উপজেলায় আমরা কিছু না কিছু বই পাঠাচ্ছি। সব স্কুলেও কিছু না কিছু বই পাঠানো হয়েছে। বই একেবারে যায়নি এমন উপজেলা ও স্কুল থাকবে না। হয়তো সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী প্রথমদিনে বই হাতে পাবে না। তবে অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেবো।’

এএএইচ/কেএসআর