ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

বদলে গেলো ঢাকার বিশেষ শিক্ষা ইনস্টিটিউটের নাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ বিশেষ শিক্ষা ইনস্টিটিউটের নাম বদলে গেছে। ইনস্টিটিউটটির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুলতানা সারওয়ারাতারা জামান বিশেষ শিক্ষা ইনস্টিটিউট’।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩ নভেম্বর সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা জেলায় অবস্থিত ‘বাংলাদেশ বিশেষ শিক্ষা ইনস্টিটিউট’ ৬ বড় বাঘ, সেকশন ২, মিরপুর ঢাকার নাম পরিবর্তন করে ‘সুলতানা সারওয়ারাতারা জামান বিশেষ শিক্ষা ইনস্টিটিউট’ নামে পরিচালিত হবে।

কে এই সুলতানা সারওয়ারাতারা জামান

সুলতানা সারওয়ারাতারা জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটউটের ইমিরেটাস অধ্যাপক ছিলেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী নূরুজ্জামান বীর উত্তমের স্ত্রী তিনি। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসায় অবদান রয়েছে তার।

১৯৩২ সালের ৯ জুন তিনি ঝিনাইদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। যুক্তরাষ্ট্রের এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৭২ সালে সুলতানা সারওয়ারাতারা জামান ছিন্নমূল শিশু ও নারীদের সেবার লক্ষ্যে ঢাকার মালিবাগের গুলবাগে ‘দীপশিক্ষা বিদ্যালয়’ স্থাপন করেন। প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষাদান এবং প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে তিনি ‘সোসাইটি ফর দ্য কেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন ফর মেন্টালি রিটার্ডেড চিলড্রেন’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে ‘সুইড বাংলাদেশ’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

সুলতানা সারওয়ারাতারা জামান ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার প্রচেষ্টায় ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে বিশেষ শিক্ষায় প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে স্পেশাল এডুকেশন বিভাগ চালু হয়। এ উদ্যোগটি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম।

১৯৮৪ সালে তিনি প্রতিবন্ধী বিশেষ করে প্রতিবন্ধী শিশু ও নারীদের নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসার জন্য ‘কল্যাণী’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলেন তিনি।

২০০৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে তাকে অধ্যাপক ইমেরিটাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। একই বছর (২০০৮) বাংলাদেশ সরকার তাকে বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত করে। ২০২০ সালের ২২ মার্চ ৮৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

এএএইচ/এমআরএম/জেআইএম