ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

বন্যার বিপর্যয় কেটে গেছে, এবার পড়াশোনার ঘাটতি পোষাতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার বিপর্যয় প্রাথমিকভাবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এখন শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ঘাটতি পোষাতে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘ভয়াবহ বন্যার বিপর্যয় প্রাথমিকভাবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এবার মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করতে হবে। শিক্ষকদেরও গুরুত্বসহকারে পাঠদানে নিয়োজিত হতে হবে। অনেকদিন পড়ালেখায় গ্যাপ (ঘাটতি) হয়েছে। এ গ্যাপ পুষিয়ে নিতে হবে।’

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলগাজী উপজেলার বন্দুয়া দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা। এসময় তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ বিতরণ করেন।

অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘বন্যায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে অনেক। আজ আমরা বাস্তব অবস্থা দেখার জন্যই ক্ষতিগ্রস্ত এ এলাকায় এসেছি। শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই, খাত, কলম ও ব্যাগ তুলে দিয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে যা যা প্রয়োজন, সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’

বন্যার বিপর্যয় কেটে গেছে, এবার পড়াশোনার ঘাটতি পোষাতে হবে

পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, ফেনীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিনা আক্তার, পুলিশ সুপার (এসপি) হাবিবুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম, ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

একই দিনে উপদেষ্টা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চান্দকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানেও তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ বিতরণ করেন।

গত আগস্টে আকস্মিক বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১১ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় দুই হাজার ৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি এবং বই-পুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা।

এএএইচ/কেএসআর/জিকেএস