ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও কোষাধ্যক্ষ এস এম এহসান কবীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে তাদের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যের শিকার কর্মরতদের ব্যানারে রাজধানীর বছিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপ-উপাচার্য আবুল কালাম আজাদ একজন দুর্নীতিবাজ। তার বিরুদ্ধে ঘুস নেওয়ার অভিযোগের শেষ নেই। শিক্ষক হলেও তিনি বিগত স্বৈরাচার সরকারের দোসর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম গড়ে সেটার পরিচালক হয়েছিলেন। এ ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম অবৈধ নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে। ৫ আগস্টের পর তিনি পলাতক। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।
কোষাধ্যক্ষ এস এম এহসান কবীরের বিরুদ্ধেও অভিযোগের ফিরিস্তি তুলে ধরেন বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলেন, টানা দুই মেয়াদে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়েছেন এহসান কবীর। একই সঙ্গে তিনি দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তিনি মাদরাসাগুলো থেকে কমিশন বাণিজ্যের অন্যতম হোতা। ৪০ লাখ টাকার এফডিআর কেলেঙ্কারিতেও জড়িত তিনি। স্বৈরাচার সরকার পালানোর পর দীর্ঘদিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তাকে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
মানববন্ধন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জরুরিভিত্তিতে উপ-উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানানো হয়।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর ১৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ। পরদিন ১৬ আগস্ট থেকে অফিসে আসেন না উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সর্বশেষ ২২ আগস্ট থেকে অনুপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ এস এম এহসান কবীরও।
উপাচার্যের পদত্যাগ, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ লাপাত্তা হওয়ায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ দেশের প্রায় ১৫০০ মাদরাসা। এসব মাদরাসার বিভিন্ন কার্যক্রমে অনেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকার বছিলায় অবস্থিত ক্যাম্পাসে এসেও ফিরে যাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক শূন্যতা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। গত ২ সেপ্টেম্বর এ চিঠি পাঠানো হলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অচলাবস্থা কাটাতে প্রশাসনিক কোনো পদে নতুন নিয়োগ বা দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
এএএইচ/এমএএইচ/জিকেএস