বহাল থাকছে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত
গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ের ভেতরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করেছে সরকার।
সেদিন এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটি বহাল থাকছে।
তবে ফল তৈরি ও তা কীভাবে প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কিছু জানায়নি শিক্ষা বোর্ড। আজকের বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টাও কিছু বলেননি।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এখন এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হলে নিরাপদ পরিস্থিতি বহাল থাকবে কি না, প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা রক্ষা করা যাবে কি না... এ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আসলে আমরা জানি না এরা কারা।
তিনি বলেন, সবমিলিয়ে পরীক্ষার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি আছে। চেয়েছিলাম আরও বিশ্লেষণ করতে। কিন্তু আপনারা জানেন যেসব ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত।
- আরও পড়ুন
- এইচএসসির বাকি পরীক্ষা হবে না
পরীক্ষার ফলাফল কীভাবে দেওয়া হবে এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষ্কার করে কিছু জানাননি সাংবাদিকদের। তবে তিনি বলেন, একটা রক্ষাকবচ আমার কাছে মনে হয়েছে, এসব পরীক্ষার্থী পুরো বছর পরীক্ষা দিয়েছে। তারা টেস্ট-প্রিটেস্ট দিয়েছে। আমি সব কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবো, তারা যেন শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ের সব মূল্যায়নপত্র দেয়।
পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কীভাবে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটার জন্য আমাদের এক্সপার্টরা আছেন। তারা ভাবছেন। শিক্ষাবোর্ডগুলো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। যে অর্ধেক পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলো মিলে তারা কী করবেন, আমি এখনো পরিষ্কার জানি না। সরাসরি সে সিদ্ধান্ত আমার নেওয়ার কথাও নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি ও অন্যান্য পদে নতুন নিয়োগের বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা দ্রুত চেষ্টা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। তবে আমরা রাজনৈতিক সরকার নই, চাইলে একটা তালিকা ধরে নিয়োগ দেবো। আমরা যাচাই-বাছাই করছি, সৎ-গ্রহণযোগ্য, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা কাদের অভিভাবক হিসেবে দেখতে চান, এমন শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে।
নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। বিশেষ করে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাক্রম অনেক দুর্বল। তবে আমাদের হাতে সময় নেই, যতটুকু পারি পরিবর্তন করা হবে। এছাড়া জানুয়ারি মাস আসতে বেশি দিন সময় নেই। এরমধ্যে সারাদেশের পাঠ্যপুস্তক তৈরি করতে হবে। এসময়ের আগে যতটুকু সম্ভব সংস্কার করা হবে। আমরা চেষ্টা করবো ভালো কাগজ, পরিচ্ছন্ন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে।
এনএইচ/এমএইচআর/জিকেএস
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ২ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৩ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৪ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন
- ৫ শিক্ষা প্রশাসনে ফের বড় রদবদল, এবার ৪৬ কর্মকর্তাকে পদায়ন