ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

প্রাথমিক সচিব

বাস্তবতা বিবেচনায় কম শিক্ষার্থী থাকা স্কুলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ২৫ জুন ২০২৪

বাস্তবতা বিবেচনা করে কম শিক্ষার্থী থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

প্রায় দেড়শ’র কাছাকাছি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১০-৫০ জনের মধ্যে আছে। বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে এসব বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত কিংবা চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সচিব।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব এসব তথ্য জানান।

কাছাকাছি কম শিক্ষার্থী থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত করার অগ্রগতি জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। ইন-জেনারাইলজড সিদ্ধান্ত না। আমাদের ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। আমাদের টার্গেট হলো ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় এলিমেন্টারি স্কুল করা। এটা সারা বিশ্বেই আছে। আমরা এরই মধ্যে চিহ্নিত করেছি প্রায় দেড়শ’র কাছাকাছি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১০-৫০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু হুট করে আমরা সব স্কুল মার্জ বা বন্ধ করে দেবো না।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আমরা ট্রেন্ডটা দেখছি, গত ১০ বছর বা ২০ বছর কোনো স্কুলে ১০ জন বা ২০ জন করে শিক্ষার্থী থাকে তাহলে আমরা শুধু ওই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্কুল মার্জ (একীভূত) করে দেবো না।

উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়খলিয়া ইউনিয়নে একটি স্কুল ১০-২০ জন করে শিক্ষার্থী নিয়ে ১৫ বছর ধরে চলছে। কিন্তু তার আশপাশে ৭-৮ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নেই। সুতরাং ওই স্কুলটি আমরা মার্জ করে দেবো না।

‘আবার বরিশালে রাস্তার এপারে একটি স্কুল আছে, বিপরীতে বা পার্শ্ববর্তী স্কুল আছে। এ স্কুলে ধরেন কয়েকজন শিক্ষার্থী আবার অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে দুইশ’র কাছাকাছি শিক্ষার্থী। ওই স্কুলটা আমরা মার্জ করে দেবো।’

এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, এটা ইন-জেনারেলাইজড সিদ্ধান্ত হবে না। চাহিদা এবং স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা করে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবো।

সিটিজেন সেবা মডিউলে থাকবে সব তথ্য

সচিব বলেন, আমরা ইন্টিগ্রেটেড প্রাইমারি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম চালু করেছি। এটা আমাদের এক-দেড় বছরের সাধনার ফল। এটাকে বলছি ওয়ান স্মার্ট প্ল্যাটফর্ম অল ডিজিটাল সার্ভিস। এখানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিদ্ধান্তের আওতায় একটি মডিউল সংযোজন করেছি। সেটি হচ্ছে, সিটিজেন সেবা মডিউল। যেসব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ এবং প্রচারযোগ্য সেসব তথ্য-উপাত্ত এখানে পাবেন। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে এটা কমপ্লিট হবে। সেখানে জরাজীর্ণ ভবন থেকে শুরু করে সব ধরনের তথ্য থাকবে।

জুলাইয়ে ঢাকার ১০ নতুন স্কুল ভবন উদ্বোধন

এই মুহূর্তে সারাদেশে ৮১ শতাংশ স্কুলে নতুন ভবন হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, এখনো আমাদের ২০ শতাংশের মতো জরাজীর্ণ ভবন রয়েছে। ঢাকা শহরের কথা আমরা বলতে পারবো, ঢাকা শহরে ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র স্থাপত্য শৈলীতে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আগামী জুলাই মাসে ঢাকার ১০টি স্কুল প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করাবো। এরই মধ্যে দুইশ’র বেশি বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান আমরা অনুমোদন করেছি। ৫০টি বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ চলমান। আগামী আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয়ে পরিণত হবে।

‘এটাকে আমরা পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করছি, যদি সরকারের অনুমোদন পাই, আমরা সামনের দিকে যাবো। জড়াজীর্ণ ভবনগুলো নির্মাণ আমাদের অগ্রাধিকার লক্ষ্যমাত্রা।’ বলেন সচিব।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জমি বেদখল জমি উদ্ধারের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সালাম বলেন, দখলের এই অপসংস্কৃতির বিষয়টি আমরা অনেকেই চর্চার মধ্যে রাখি। তবে আমাদের যে পরিকল্পনা প্রত্যেক মাসে সেটির আপডেট করা। সেটি হচ্ছে জমির দখল বুঝে পাওয়া এবং রেকর্ড হালনাগাদ করা। এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি চলছে। সবকিছু স্বল্প সময় দখলমুক্ত করে ফেলতে পারবো, আমাদের রেকর্ড হালনাগাদ করতে পারবো, সেটি এ রকম না। এটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং ধারাবাহিক কাজ, এটি চলমান। অপসংস্কৃতির কারণে এটি ঘটছে সেটি আমার চেয়ে আপনারাই ভালো জানেন।

আরএমএম/ইএ/জেআইএম