ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

কবিরুল ইজদানী

পেনশন স্কিম বাধ্যতামূলক নয়, স্কুলে পাঠানো চিঠি খতিয়ে দেখবো

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০২ পিএম, ২০ মে ২০২৪

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্ত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান।

সোমবার (২০ মে) বিকেলে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘স্কুলে কারা চিঠি দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন; কিছুই তো জানি না। এ চিঠি দেওয়ার নির্দেশনা তো দূরের কথা, আমরা এটা দেখিওনি।’

কবিরুল ইজদানী খান বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম কারও জন্য বাধ্যতামূলক নয়। বাধ্যতামূলক বলে যদি কোনো চিঠি দেওয়া হয় বা চাপ দেওয়া হয়, সেটা আমরা খতিয়ে দেখবো। এমন কোনো নির্দেশনা নেই। বাধ্যতামূলক শব্দ ব্যবহার করা হলে প্রয়োজনে চিঠি প্রত্যাহারে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের কয়েকটি অঞ্চলে, বিশেষ করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘উপজেলার এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী (১৮-৫০ বছর বয়সী) বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে অফিস চলাকালীন তালিকা, এমপিও শিট এবং রশিদের সত্যায়িত হার্ডকপি বাহক মারফত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে অনুরোধ করা হলো।’

আরও পড়ুন

গত ৮ এপ্রিল পাঠানো ওই চিঠিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সতর্কও করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘এ নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠানপ্রধান দায়ী থাকবেন।’

যেসব উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে, সেখানকার শিক্ষা কর্মকর্তারা এ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি নন। নাম প্রকাশ না করে দুজন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, ইউএনও অফিস থেকে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন চিঠি দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এজন্য তারা চিঠি দিয়েছেন। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তালিকা জমাও দিয়েছে।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণের কোনো চিঠি মাউশি থেকে দেওয়া হয়েছে বলে আমরা জানা নেই। বিষয়টি আমরা মৌখিকভাবে জেনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, কার নির্দেশনায় এমন চিঠি দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে।’

এএএইচ/কেএসআর/এমএস