ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

মামলা-হয়রানির প্রতিবাদে মানবাধিকার কমিশনে ৩৫ প্রত্যাশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ১৯ মে ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি কমিশনের সামনে মানববন্ধনও করেছেন তারা।

রোববার (১৯ মে) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এ স্মারকলিপি দেন তারা। এরপর কমিশনের সামনে মানববন্ধন করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন। বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনা করে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ৫ বছরে এ বয়সসীমা বৃদ্ধি হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, দেশের উচ্চশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীরা গত প্রায় ১২ বছর ধরে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলন করে আসছেন। বিশ্বের ১৬২ দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫। শুধু পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বয়সসীমা ৩০ বছরকে অনুসরণ করে আসছে।

এদিকে দ্রুত বয়সসীমা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন চেয়ে ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দাবি বাস্তবায়নে ১১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে শিক্ষার্থী সমাগমের মধ্য দিয়ে গণভবনমুখী পদযাত্রা শুরু করা হয়। পথে শাহবাগে পুলিশ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। আন্দোলনকারী সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। ওই সময় ১২ জনকে গ্রেফতার করে আন্দোলনের মুখপাত্র ও ঢাবি সমন্বয়কসহ ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মিথ্যা মামলা করা হয়।

এর আগে গত বছর ১০ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দেওয়া হয়। তারা প্রতি মাসে মামলার হাজিরা দিচ্ছেন। ৩৫ দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত প্রজ্ঞাপন চেয়ে সেই সঙ্গে দুই দফায় ২৫ জনের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পদক্ষেপ চান তারা।

আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ বলেন, আমরা মানবাধিকার কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। এরপর পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মানববন্ধন করা হয়েছে। আশা করি মানবাধিকার কমিশন আমাদের দাবির বিষয়টি বিবেচনা করবে।

এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম