ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

এবার ভিকারুননিসায় মিথ্যা তথ্য-জাল সনদে ৩৬ ছাত্রী ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফের অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ ওঠেছে। মিথ্যা তথ্য ও জাল সনদে প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ ছাত্রীকে ভর্তির ঘটনা ঘটে। খোদ প্রতিষ্ঠানটির ভর্তি কমিটির একজন সদস্য গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে এ অভিযোগ করেন। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে।

জানা গেছে, অবৈধভাবে ৩৬ ছাত্রী ভর্তির ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ভর্তি সংশ্লিষ্টদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। ২৫ মার্চ চিঠি দিয়ে জবাব চাওয়া হয়। চিঠি হাতে পাওয়ার পর চার কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসার প্রথম শ্রেণিতে ১৬৯ জন ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তির অভিযোগ ওঠে। পরে তাদের ভর্তি বাতিল করা হয়। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখা (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে বরখাস্ত করা হয়। তাকে ঘটনা ফাঁসের জন্য দায়ী করা হয়।

নিজে বরখাস্ত হওয়ার পর শাহ আলম খান ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি লিখিতভাবে গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে জানান। ১৮ ফেব্রুয়ারির লিখিত অভিযোগে শাহ আলম জানান, মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জাল সনদ ব্যবহার করা হয়। ভর্তির ফরম বাছাইয়ে নীতিমালার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের ভর্তি বাতিলযোগ্য।

এদিকে, ভিকারুননিসার ৬ সদস্যের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— ধানমন্ডি প্রভাতি শাখা প্রধান মাহমুদ আহমদ, মূল দিবা শাখার প্রধান শাহ আলম, বসুন্ধরা দিবা শাখার প্রধান জগদীস চন্দ্র পাল, মূল দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক চাঁদ সুলতানা ও আজিমপুর প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ।

জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ‘এখনো এটা নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। এখন এটা নিয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না।’

এএএইচ/জেডএইচ/এএসএম