স্কুলে স্কুলে বই উৎসব
অনেক শিক্ষার্থী ঢাকায় ফেরেনি, তাই উপস্থিতিও কম
সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া হচ্ছে আজ। তবে রাজধানীর স্কুলগুলোতে এবছর নতুন বই নিতে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম দেখা গেছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে দুপুর ২টা পর্যন্ত বই বিতরণ চলবে।
শিক্ষকরা বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এবছর শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা আগেই শেষ হয়েছে। তাই অনেকে পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে গেছেন। আর ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের কারণে অনেক শিক্ষার্থী নির্বাচনের পরে ঢাকায় আসবেন। একারণেই উপস্থিতি কম।
রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১৩ জন। স্কুলের দেওয়া তথ্য অনুসারে এবছর প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ সেট, প্রথম শ্রেনীর ৫০ সেট, দ্বিতীয় শ্রেনীর ৪৫ সেট, তৃতীয় শ্রেনীর ৫০ সেট, চতুর্থ শ্রেনীর ৪৬ সেট এবং পঞ্চম শ্রেনীর জন্য ৪৫ সেট বই আনা হয়েছে। নতুন কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হলে তাদেরও যাতে বই দেওয়া যায় এজন্য পাঁচ সেট বই বেশি আনা হয়েছে। শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে এসব বই আবার ফেরত দেওয়া হবে। স্কুলটিতে দুপুর পর্যন্ত মোট ৯৫ জন শিক্ষার্থী নতুন বই নিতে এসেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল নাঈমা জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বই উৎসব হয়। এবার আর উৎসব হয়নি তাই স্কুলেই বই দিয়েছি।
রাজধানীর শহীদ বুদ্ধিজীবী ড.আমিন উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রায় ৫০ ভাগের মত শিক্ষার্থী বই নিয়েছে। স্কুলটিতে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রথম শ্রেনীর বই আগামী ৩ জানুয়ারী দেওয়া হবে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রীনা পারভীন বলেন, অনেক শিক্ষার্থী বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে আছেন। এজন্য উপস্থিতি কিছুটা কম। যেসব শিক্ষার্থী দেরিতে আসবে তারাও বই নিতে পারবে ।
প্রাথমিকের মত এবার মাধ্যমিকেও বই উৎসব হচ্ছে না। তবে স্কুল গুলোতে নতুন বই পৌঁছেছে। শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া হয়েছে। ঢাকার নীলক্ষেত হাই স্কুলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলটি একেবারের ফাঁকা। স্কুলটিতে সব শ্রেনী মিলিয়ে মোট ২৫০ জনের মত শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে আজ বই নিতে এসেছেন ৫০ জনের মত শিক্ষার্থী। এ স্কুলের ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা পাঠ্যক্রমে থাকা সবগুলো বই পেয়েছেন। তবে অষ্ঠম শ্রেনীর সামাজিক বিজ্ঞান, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং ইসলাম শিক্ষা এ তিনটি বই এখনও স্কুলে আসেনি। আর নবম শ্রেনীর বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান এ দুইটি বই এখনও স্কুলে আসেনি।
স্কুলটিতে মোট শিক্ষার্থী এবং বই নিতে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকার কারন জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সুরমান আলী বলেন, ‘আমার স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। অনেকে দেরিতে ভর্তি হয়। আশা করছি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়বে।’
এনএস/এসআইটি/এমএস
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে ভিসিদের বৈঠক শনিবার, আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
- ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময় ৫ ঘণ্টা করার দাবি শিক্ষকদের
- ৩ লটারির ফলাফলে এক স্কুলের মেধাতালিকায় তিনবার এক ছাত্রীর নাম!
- ৪ বিসিএসে বয়সসীমায় ‘বৈষম্য’, ৩৪ বছরের দাবি চিকিৎসকদের
- ৫ রামপুরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-মশাল মিছিল