ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

মাধ্যমিকের চেয়ে প্রাথমিকে ছুটি কম, শিক্ষকদের অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে দুই মন্ত্রণালয়। তাতে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটি বাদে মাধ্যমিকে ৭৬ দিন ছুটি। অথচ প্রাথমিকে ছুটি ৬০ দিন।

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, গ্রীষ্মকালীন এবং দুর্গাপূজার ছুটি মাধ্যমিকের চেয়ে প্রাথমিকে কিছুটা কমানোয় এ অমিল হয়েছে। এ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকরা অসন্তোষ জানিয়েছেন।

তারা বলছেন, প্রাথমিকে বছরে ৬০ দিনের ছুটি। কিন্তু এ দিনগুলোতেও স্কুল বন্ধ থাকে না। দিবসভিত্তিক যেসব ছুটি রয়েছে, সেসব দিনে স্কুলে যেতে হয়। অন্যান্য ছুটির সময় প্রশিক্ষণ, খাতা দেখা ও সরকারি নানা কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হয়।

আবার মাধ্যমিক সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে অনেক। একই শিক্ষক প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ক্লাস নেন। তাহলে কি তারা মাধ্যমিক ছুটি দিয়ে প্রাথমিক খোলা রাখবে- এমন প্রশ্ন প্রাথমিক শিক্ষকদের।

ছুটির তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় বাৎসরিক ছুটি ৭৬ দিন রাখার কথা বলেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। আর সাপ্তাহিক ছুটি হবে দুদিন। অর্থাৎ বছরে মোট সাপ্তাহিক ছুটি ১০৪ ও বার্ষিক ছুটি ৭৬ দিন মিলে মোট ছুটি দাঁড়াবে ১৮০ দিন। আর কর্মদিবস হিসেবে ১৮৫ দিন রাখার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচটি জাতীয় দিবসকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মদিবস হিসেবে বিবেচনা করতেও বলেছে এনসিটিবি।

এনসিটিবির শিক্ষাক্রম ইউনিটের সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, আমরা রূপরেখা দিলেও শিক্ষক্রম বাস্তবায়ন করবে স্ব স্ব অধিদপ্তর। আমরা বাৎসরিক ছুটি ৭৬ দিন রেখেছি। এখন এর বেশি ছুটি দিলে সমস্যা। তবে ছুটি যদি কম রাখে তাহলে ক্ষতি নেই।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, শিক্ষার ভিতটা প্রাথমিক থেকে শিখে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকে যায়। বিদ্যালয়গুলোতে শিশুদের হাতে ধরে শেখাতে হয়। ফলে প্রাথমিকে শিখন ঘণ্টা বেশি দরকার। এজন্য ছুটি কিছুটা কম রেখেছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এখনো আগামী বছরের ছুটির তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড় করা হয়নি। আমরা ছুটির তালিকা নিয়ে আবারও বসবো, পুনর্মূল্যায়ন করবো।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মু. মাহবুবর রহমান বলেন, শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয় আলোচনার মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ছুটির বর্ষপঞ্জিকা করলে তা অভিন্ন হতো। আমরা প্রাথমিকের ছুটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি। আশা করি- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ দাবি বিবেচনা করে ছুটি বাড়াবে।

এএএইচ/এমকেআর/জিকেএস