বর্তমান শিক্ষা হবে নৈতিক ও কর্মমুখী: অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকী
শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন কারিকুলামের শিক্ষা হবে নৈতিক ও কর্মমুখী বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, আমাদের মূল সমস্যা আমরা সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা করতে পারিনি। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষা হওয়া উচিত মানবিক ও কল্যাণমুখী। বর্তমান কারিকুলামে শিক্ষা হবে নৈতিক ও কর্মমুখী শিক্ষা।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে জনলোক নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও কথা বলেন।
চলমান রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। রাজনৈতিক দলের মূল কাজ জনকল্যাণ। জাতির পিতা আমাদের একটা সংবিধান দিয়ে গেছেন, যেখানে ২২টি মানবিক অধিকার সংরক্ষিত আছে। আজ আমরা অবরোধ-হরতাল দেখছি। এটি একটা রাজনৈতিক দলের রয়েছে। কিন্তু সেই কর্মসূচি কেউ করলে ভালো, না করাটাও তার অধিকার। কিন্তু হরতাল-অবরোধের নামে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এটা একজন নাগরিকের অধিকার, রাজনৈতিক দলগুলোকে সে অধিকার রক্ষা করতে হবে।
অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৯৭১ সালে মার্কিন সরকার বাংলাদেশ ও মানবিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তবে মার্কিন জনগণ ও গণমাধ্যমের মাঝে মানবিকতাবোধ ছিল। তারা বাংলাদেশের পক্ষে চাপ প্রয়োগ ও মানবতার কথা বলে গেছে। অর্থাৎ মানবিকতা সবসময় পৃথিবীতে আছে, তবে ক্ষমতায় যারা থাকে তারা অমানবিক হয়ে যায়। এটি সমুন্নত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে জনপ্রতিনিধিদের সাম্প্রতিক সম্পদের হিসেবে আমরা দেখছি কারো কারো সম্পদ কয়েকশো গুণ বেড়েছে। এ বিষয়ে জনগণের কাছে স্বচ্ছভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। এটি নিশ্চিতে শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছে বলেও জানান সাবেক ঢাবি উপাচার্য।
এসময় তিনি রাজনৈতিক দলসহ সব মানুষকে মানবতাবোধ সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে রাজনীতি করা ও কর্মসূচি দেওয়া অধিকার তবে না মানাটাও অধিকার উল্লেখ করে আগুন দেওয়ার মতো কাজ অমানবিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, দেশ এগিয়ে গেছে তবে ত্রিশ লাখ মানুষ যা চেয়েছিল তা পায়নি। ১৯৭২ পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষকে খাবার যোগান দেওয়া কঠিন হতো। এখন ১৭ কোটি মানুষের খাবার যোগান দিচ্ছে। এদেশের কৃষক তার কথা রেখেছে। রাজনৈতিক নেতারা তা রক্ষা করতে পারেনি। তবে এখন সার ও কৃষি পণ্যের জন্য তাদের রক্ত দিতে হচ্ছে না। এটার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।
আরএএস/এসএনআর/এএসএম
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে ভিসিদের বৈঠক শনিবার, আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
- ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময় ৫ ঘণ্টা করার দাবি শিক্ষকদের
- ৩ লটারির ফলাফলে এক স্কুলের মেধাতালিকায় তিনবার এক ছাত্রীর নাম!
- ৪ বিসিএসে বয়সসীমায় ‘বৈষম্য’, ৩৪ বছরের দাবি চিকিৎসকদের
- ৫ রামপুরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-মশাল মিছিল