ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রতি পদের বিপরীতে ১৩০ প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর)। এ ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে তিন বিভাগের ১৮ জেলার ৭২ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সর্বশেষ শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতি পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন ১৩০ চাকরিপ্রত্যাশী।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী-৭২ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদ রয়েছে ২ হাজার ৭৭২টি। আর প্রথম ধাপে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ চাকরিপ্রত্যাশী। সেই হিসাবে প্রতি পদের বিপরীতে লড়বেন ১৩০ জন। তবে কোটা সুবিধার কারণে নারী প্রার্থীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন।

এদিকে আগের মতো কোটাপদ্ধতি মেনে এবারও সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ বিধিমালায় কোটার বিষয়ে যেভাবে বলা আছে, তা অনুসরণ করে প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ এ বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক পদে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা। এ তিন কোটার প্রতি ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এভাবে তিন কোটায় বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের এক ঘণ্টার লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার ৫৩৫ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা নেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলোতে কক্ষের সংখ্যা থাকবে মোট ৮ হাজার ১৮৬টি।

জেলাগুলো হলো-রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।

প্রাথমিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিন ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। তবে এর মধ্যে দুই হাজার ৫৫৭ জন চাকরিতে যোগ দেননি। ফলে এ পদগুলো শূন্য থেকে যায়।

এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম