কাবেরী গায়েন
স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেশে ধর্মভিত্তিক শিক্ষার প্রসার ঘটেছে
মহান স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক শিক্ষার প্রসার ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন।
তিনি বলেন, দেশে প্রচলিত মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা মূলত বিশ্বাসভিত্তিক। এখানকার কারিকুলামের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। অথচ বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রসার ঘটেছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ‘সর্বজনীন গণমুখী বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতি: বর্তমান প্রেক্ষিতে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন কাবেরী গায়েন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষা-সংস্কৃতি আন্দোলন।
সেমিনারে কাবেরী গায়েন মূলপ্রবন্ধ তুলে ধরেন। এতে তিনি দেশে এ পর্যন্ত যতগুলো শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে, তা তুলে ধরে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন।
বাংলাদেশ শিক্ষা ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য তুলে ধরে কাবেরী গায়েন বলেন, বর্তমানে দেশে ৯ হাজার ২৬৮টি আলিয়া মাদরাসা রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ লাখ ৬২ হাজার ২৭৭ জন। ২০২২ সালে জাতীয় সংসদে দেওয়া শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির তথ্যানুযায়ী কওমি মাদরাসা আছে ১৯ হাজার ১৯৯টি। এখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৪ লাখের মতো।
তিনি বলেন, কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান প্রদান আইন-২০১৮ এর জন্য ছয়টি শিক্ষাবোর্ডকেও স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। এছাড়া হাফেজিয়া, এবতেদায়ি, ফোরকানিয়া মাদরাসাগুলো বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার্থী রয়েছে। ফলে সঠিক শিক্ষার্থী সংখ্যা জানাটা দুষ্কর।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষা-সংস্কৃতি আন্দোলনের আহবায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোবায়দা নাসরিন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকবর প্রমুখ।
এএএইচ/জেডএইচ/এমএস