ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

উচ্চশিক্ষার বই বাংলায় প্রকাশ করা উচিত: ইউজিসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দেশের উচ্চশিক্ষাস্তরের পাঠ্যবই ও গবেষণাগ্রন্থ বাংলা ভাষায় প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। একই সঙ্গে বাংলা ভাষায় মানসম্মত পাঠ্যবই ও গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) উচ্চশিক্ষা স্তরে ছয়টি মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ উপলক্ষে পাণ্ডুলিপি প্রণেতা ও ইউজিসির মধ্যে পৃথক সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন> বার্ষিক প্রতিবেদনে সুপারিশ/ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম বন্ধে বিচারিক ক্ষমতা চায় ইউজিসি

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, উচ্চশিক্ষা স্তরে পাঠ্যপুস্তক নিজ ভাষায় প্রকাশ করা উচিত। উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষা বাংলায় কোনো বিকল্প নেই। এজন্য, আমাদেরকে বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক ও গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশে অধিক মনোযোগ দিতে হবে।

তিনি বলেন, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনসহ উন্নত বিশ্বের দেশসমূহ মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা দেওয়া হয়। যোগাযোগে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করলেও উচ্চশিক্ষা প্রদান ও প্রকাশনায় তারা নিজ ভাষা ব্যবহার করে থাকেন। তবে জ্ঞানার্জনে তিনি মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায়ও সমৃদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। কমিশনের পক্ষে সচিব ড. ফেরদৌস জামান সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লেখক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন> গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেলেন ইউজিসি সদস্য আবু তাহের

প্রকাশিতব্য গ্রন্থগুলো হলো, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. জি এম মনিরুজ্জামানের ‘ত্রিপুরা জনজাতির রূপকথা, লোককাহিনি ও কিংবদন্তিতে জীবন ও সমাজ’, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ‘বাঙালির উৎসব ও সম্প্রীতি’, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দেবাশীষ বেপারীর ‘সমকালীন বাংলা গানের ধারায় কাজী নজরুল ইসলামের আধুনিক গান’, একই বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক সরকারের ‘কাজী নজুরুল ইসলামের ভাঙা গান’, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম আকবর ইমামের ‘বাস্তুবিদ্যা’এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেনের ‘দীনবন্ধু মিত্র ও মীর মশাররফ হোসেনের নাটক: উত্তর-ঔপনিবেশিক পাঠ’।

এএএইচ/এসএনআর/এমএস