ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

পেশাগত দিক নিয়ে ছেলেমেয়েদের হতাশা বেশি: মাউশি পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৫৯ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে পেশাগত দিক নিয়ে চরম হতাশায় ভোগেন বলে মনে করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. এ কিউ এম শফিউল আজম।

তিনি বলেন, ‘এ হতাশা পরে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। পেশাগত হতাশা দূর করতে সরকার শিশুকাল থেকে শিশুদের জীবন দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নতুন শিক্ষাক্রমকে শিশুদের কাছে পরিচিত করার চেষ্টা করেছ। যেখানে তারা সব বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তাদের আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করে পেশাগত জীবনে প্রবেশ করতে পারবে।’

আরও পড়ুন: ৮ মাসে ৩৬১ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, নারীদের সংখ্যা বেশি

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘আশা, প্রশান্তি এবং পদক্ষেপ বিষয়ক আলাপন’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার হয়। এর আয়োজন করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (ব্র্যাক আইইডি)।

সেমিনারে অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের রিসার্চ লিড ও প্রোগ্রাম হেড সমীর রঞ্জন নাথ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমান, বরেণ্য অভিনয়শিল্পী, পরিচালক, উদ্যোক্তা এবং সমাজকর্মী সারা যাকের, ব্র্যাক আইইডির মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা টিম লিড সহকারী অধ্যাপক ড. তাবাসসুম আমিনা প্রমুখ।

আরও পড়ুন: ১৭৭ আত্মহত্যাপ্রবণ নারী রোগীর মধ্যে ১২২ জনই মাদকাসক্ত

সারা যাকের বলেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের তাদের নিজের জীবনের হতাশার ঘটনাগুলো মিডিয়াতে আরও বেশি করে শেয়ার করতে হবে। পাশাপাশি এ হতাশা থেকে তারা কী প্রক্রিয়ায় বের হয়ে আসতে পেরেছিলেন, সেগুলো আরও বেশি গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। যেন তরুণ প্রজন্ম নিজেদের সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী হয়। একই সঙ্গে যেন তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের দিকনির্দেশনা পান।

সেমিনার আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য সমাজে যারা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন এবং আত্মহত্যার ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের মধ্যে সামগ্রিকভাবে সচেতনতা বাড়ানো। পাশাপাশি এ বিষয়ে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করা।

এএএইচ/কেএসআর