গণসাক্ষরতার গবেষণা
দিনে ১-২ ঘণ্টা গেম খেলে মোবাইল হাতে পাওয়া ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী
গণসাক্ষরতা অভিযানের করা এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে। আর তাদের মধ্যে ৯২ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী দিনে ১-২ ঘণ্টা মোবাইলে গেম খেলে সময় ব্যয় করে। করোনা মহামারি চলাকালে এ আসক্তি বেশি তৈরি হয়েছে ও ক্রমেই তা বেড়েছে।
‘এডুকেশন ওয়াচ স্টাডি ২০২২’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করা হয়। এদিন দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজার হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলেনে ‘মহামারি-উত্তর শিক্ষা: স্কুল শিক্ষার পুনরুদ্ধার ও আগামীর অভিযাত্রা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের সার্বিক দিক তুলে ধরেন এডুকেশন ওয়াচের ফোকাল পয়েন্ট ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
গবেষণা প্রতিবেদন দেখা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ৮১ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থীও গেম খেলায় সময় ব্যয় করে দৈনিক ১ থেকে ২ ঘণ্টা। ডিভাইস ব্যবহার করছে মাধ্যমিকের ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহারকে সমস্যা হিসেবে দেখলেও, তিন-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবক এটিকে উল্লেখযোগ্য কোনো সমস্যা বলে মনে করেন না।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, শহরের বস্তি এলাকার শতভাগ শিক্ষার্থী দিনে ১০-২ ঘণ্টা সময় গেম খেলে ব্যয় করে। এছাড়া গ্রাম, শহরতলী ও শহরে যথাক্রমে ২ ঘণ্টা গেম খেলে ৯৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এডুকেশন ওয়াচের সভাপতি ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গবেষক ড. সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন, এডুকেশন ওয়াচের সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
এএএইচ/এসএএইচ
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ২ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৩ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৪ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন
- ৫ শিক্ষা প্রশাসনে ফের বড় রদবদল, এবার ৪৬ কর্মকর্তাকে পদায়ন