‘ইওর ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী স্কলাস্টিকা
সফলভাবে শেষ হলো ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘ইওর ওয়ার্ল্ড’ ভিডিও প্রতিযোগিতা। এ বছর প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে ভিয়েতনাম থেকে ‘কাউ গিয়াউই মাধ্যমিক স্কুল’। তারা ভিডিওতে ‘সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ’ প্রতিপাদ্যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের সোশ্যাল অ্যাকশন প্রকল্প তুলে ধরে। ভিডিওতে সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয় এবং এর সমাধান তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জোহার টাউন পাকিস্তানের লাহোর গ্রামার স্কুলকে। ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তারা বিজয়ী হয়।
এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিলের পার্টনার স্কুলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশের স্কলাস্টিকা স্কুল। প্রতিযোগিতায় সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং দ্য রেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। আর ইয়েল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
বৈশ্বিক পর্যায়ে নিজেদের পার্টনার নেটওয়ার্কের স্কুলগুলো নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফ্ল্যাগশিপ ভিডিও নির্মাণ প্রতিযোগিতা ‘ইওর ওয়ার্ল্ড।’ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সমস্যা সমাধান সংশ্লিষ্ট দক্ষতা ও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পায়।
প্রতিযোগিতাটি ১৪-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। এবছর (ইওর ওয়ার্ল্ড ২০২২-২৩) প্রতিপাদ্য ছিল ‘গুড হেলথ অ্যান্ড ওয়েল-বিইং’।
শিক্ষার্থীরা স্কুলে তাদের অধ্যয়ন করা বিষয় যেমন- বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন ও গ্লোবাল স্টাডিস থেকে প্রাপ্ত ধারণা ও জ্ঞান নিয়ে ভিডিও তৈরি করে।
এ বছর প্রতিযোগিতায় জমা পড়ে ৭৫০টিরও বেশি ভিডিও। এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিল নেটওয়ার্কের স্কুলগুলো থেকে ৩৫০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
স্কলাস্টিকা স্কুলের গ্রেড-১২ এর ছাত্র ও বিজয়ী দলের সদস্য উত্সব সরকার বলেন, ভিডিও নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে আমরা একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা যেমন সহযোগিতা, দলগত কাজের দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা, সৃজনশীলতা ও ডিজিটাল স্বাক্ষরতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
স্কলাস্টিকা স্কুলের গ্রেড-১০ এর একাডেমিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফিদিয়া কামাল বলেন, অন্যান্য পার্টনার স্কুলগুলোকে আমি এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহ জানাই।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিসিওসিয়া বলেন, ‘এ’ লেভেল, ‘ও’ লেভেল এবং আইজিসিই’র প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পার্টনার স্কুলগুলো কেবল বিশ্বমানের শিক্ষাই নিশ্চিত করে না, পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম (এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ) ও ‘ইওর ওয়ার্ল্ড’ ভিডিও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ দেয়।
আইএইচআর/জেডএইচ/এমএস
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ২ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৩ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৪ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন
- ৫ শিক্ষা প্রশাসনে ফের বড় রদবদল, এবার ৪৬ কর্মকর্তাকে পদায়ন