বছরে ৭৬ দিন ছুটি চান প্রাথমিক শিক্ষকরা, সময়সূচি পরিবর্তনেরও দাবি
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একই সময়সূচি করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। একইসঙ্গে বাৎসরিক ছুটি ৭৬ দিন করার দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সম্প্রতি স্মারকলিপি দিয়ে এ দাবি জানান তারা। স্মারকলিপিতে সই করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি আবুল কাসেম ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় একই স্থানে অবস্থিত। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রথম শ্রেণি থেকে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একই পরিবারে একাধিক সন্তান থাকলে একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, অন্যজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।
কিন্তু মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সূচি ও ছুটির তালিকা ভিন্ন হওয়ায় অনেক পরিবারই ভোগান্তিতে পড়ে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ছুটির কারণে বাসায় থাকলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একই অজুহাতে বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। আবার সময়সূচির ব্যাপারেও একই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
এতে আরও বলা হয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০টায় শুরু হয়। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় সকাল ৯টায় শুরু হয়। এটা একই সময় হলে অভিভাবকরা একসঙ্গে শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করতে পারেন। ২০২৩ সালের ছুটির তালিকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বছরে ৫৪ দিন ছুটি থাকবে। অথচ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭৬ দিন ছুটি থাকবে। সুতরাং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার কথা ভেবে এবং মানসম্মত পাঠদানের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সময়সূচি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা এবং বাৎসরিক ছুটি উভয় প্রতিষ্ঠানে ৭৬ দিন করার আবেদন করছি।
এমএইচএম/এএএইচ
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক
- ২ উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে প্রকল্পে ধীরগতি, ত্রিপক্ষীয় সভা করবে ইউজিসি
- ৩ চাকরির বয়স দুই বছর না হলে মাদরাসা শিক্ষকের বদলির সুযোগ নেই
- ৪ পাঠ্যবই ছাপাতে পাল্টা পদক্ষেপ এনসিটিবির, বেঁধে দিলো সময়সীমা
- ৫ ২৫ মার্চের আগে বই ছাপা সম্ভব নয় জানিয়ে চিঠি, পরক্ষণে চাইলেন ক্ষমা