ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

প্রশ্নফাঁস: প্রভাষক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৫৯ পিএম, ১৮ মে ২০২২

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক গ্রেড-১৬’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার (নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন) প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

বুধবার (১৮ মে) রাতে গোয়েন্দা তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. শাহাদত হোসেন সুমা জাগো নিউজকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা হলেন- পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. রাশেদুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. আহসানুল হাবীব (৪৫) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মো. নওসাদুল ইসলাম (৩৭)।

গ্রেফতার পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. রাশেদুল ইসলাম ৩৪তম বিসিএসের ক্যাডার। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এ নিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। এর আগে প্রশ্নফাঁসে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও চাকরির পরীক্ষার্থী সুমন জমাদ্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এডিসি শাহাদত হোসেন সুমা বলেন, গত ১৩ মে ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’ পদের নিয়োগ পরীক্ষার এমসিকিউ পরীক্ষা চলছিল। এসময় একজন পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা উত্তর দেখে উত্তরপত্র পূরণ করছিল। তখন ডিউটিরত পরীক্ষকের বিষয়টি সন্দেহ হলে পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা দুটি প্রবেশপত্র যাচাই করেন। এ সময় তিনি দেখেন প্রবেশপত্রের পেছনে উত্তর ছোট ছোট করে লেখা আছে। তখন ডিউটিরত শিক্ষিকা বিষয়টি পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে জানালে পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের উপস্থিতিতে পরীক্ষার্থী মো. সুমন জমাদ্দারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ওয়ারী থানার অভয়দাস লেন এলাকা থেকে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ফাঁস চক্রের ঘটনায় জড়িত সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার সুমন ও সাইফুলদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ফাঁস চক্রের ঘটনায় জড়িত আরও অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর ওয়ারী থানার কে এম দাস লেন এলাকা থেকে নওসাদুল ও আহসানুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীসময়ে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রমনা থানার বড় মগবাজার এলাকা থেকে রাশেদুলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (১৩ মে) দুপুরে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ৫১৩টি পদে নিয়োগে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এক লাখ ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।

টিটি/আরএডি