এইচএসসির ১৮৯ উত্তরপত্র উধাও, অধ্যক্ষসহ ২ শিক্ষক বরখাস্ত
২০২০ সালের এইচএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার ১৮৯টি উত্তরপত্রের দুটি বান্ডিল হারিয়ে গেছে। ওই দুই বান্ডিলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান প্রথমপত্রের ৯৬টি এবং দ্বিতীয়পত্রের ৯৩টি উত্তরপত্র ছিল। উত্তরপত্রগুলো গোপালগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২ ডিসেম্বর উত্তরপত্রের সিলগালা করা দুটি প্যাকেট সাদা একটি কাপড়ের ব্যাগে ভরে কারিগারি শিক্ষাবোর্ডে পাঠানোর উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জের পোস্ট অফিসে রওনা করেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের একাডেমিক সহকারী নুরুল ইসলাম। মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার পথে উত্তরপত্রের ব্যাগটি পড়ে যায়। পরে সেগুলো আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ঘটনার দিনই বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী কেন্দ্রসচিব গোপালগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান এবং একাডেমিক প্রধান হিসেবে কলেজের ইন্সট্রাকটর তৌহিদুর রহমান খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানের সই করা অফিস আদেশে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ৩০ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হয়। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এর ফল প্রকাশের কথা রয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া উত্তরপত্রের পরীক্ষার্থীদের ফলাফলের বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (গোপনীয়) মো. ইয়াছিন বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের কনসিডার করা হবে। আগের পরীক্ষাগুলো যাচাই করে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে তাদের নম্বর দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের ফল যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।’
এমএইচএম/এএএইচ/জিকেএস
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ ছাত্রদের বিতর্কিত করে অভ্যুত্থান ব্যর্থ প্রমাণের অপচেষ্টা চলছে
- ২ গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেললো গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল
- ৩ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন চাকরি ছাড়া কিছুই ভাবতে দিচ্ছে না
- ৪ পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাইকে শোকজ
- ৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব