বিসিএস ক্যাডার হতে চায় লাবণ্য
রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছিয়া বিনতে রাব্বানী লাবণ্য বিসিএস ক্যাডার হতে চায়। বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নই যেন বুনে যাচ্ছে সদ্য জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া এ শিক্ষার্থী।
জেএসসির ফলাফল দেখার জন্য বৃহস্পতিবার বাবা তরফদার গোলাম রাব্বানীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন নিজের স্কুলে। বাবার হাত ধরে ফেরার পথে কথা হয় লাবণ্যের সঙ্গে। লাবণ্য জাগো নিউজকে জানান, বড় হয়ে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসনের বড় ক্যাডার হতে চায় সে।
নিজের ভালো ফলাফলের জন্য কার বেশি ভূমিকা, বাবা-নাকি মায়ের জানতে চাইলে বাবা তরফদার গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘মেয়ে আমার স্বযোগ্যতায় এতো ভালো ফলাফল করেছে। আমি সিভিল অডিট দফতরে অডিট অ্যান্ড একাউন্টস অফিসার। আমার সহধর্মিনীও সরকারি চাকরিজীবী। নিজেদের পেশাগত কারণে খুব যে বেশি সময় মেয়েকে দিতে পেরেছি তা নয়। তবে মেয়ে নিজে থেকে আগ্রহ নিয়ে পড়াশুনা করেছে।
তবে মেয়ের ফলাফলে খুশি এ অভিভাবক আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক। মনোযোগের সঙ্গে পড়াশুনা করানোর কারণে প্রতিষ্ঠানটি খুব সুনাম কুড়িয়েছে।
মেয়ের কথায় সায় দিয়ে বাবা বললেন বিসিএস ক্যাডার হিসেবে দেখতে চান মেয়েকে। তিনি বলেন, আমি চাই আমাদের বংশে এ ধারা অব্যাহত থাকুক।
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা পরপর চার বার এ পিএসসি ও জেএসসিতে প্রথম ছিলাম। তবে জেএসসিতে আমাদের অবস্থানের নড়চড়ও হয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শতভাগ পাস সম্ভব হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, শতভাগ পাশের সঙ্গে যেন আগামীতে শতভাগ জিপিএ-৫ নিশ্চিত করতে পারি।
উল্লেখ্য, এবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (জেএসসি) ফলাফলে প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার শতভাগ। একইভাবে পিএসসিতেও প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার শতভাগ।
পিএসসি পরীক্ষায় এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৮৩ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৩৪ জন। জেএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৫৯৩ জন।
জেইউ/এসকেডি/পিআর