ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

৪৩তম বিসিএসের প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষার্থীদের সন্তোষ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২১

৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ পরীক্ষার্থীরা। তবে ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের প্রশ্ন কিছুটা জটিল হয়েছে বলে জানান তারা।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) মিরপুর কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার সময় একাধিক পরীক্ষার্থী এমন অভিমত প্রকাশ করেন।

বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, পরীক্ষার প্রশ্ন ভালো ছিল এ কারণে ভালোভাবে উত্তর লেখা সম্ভব হয়েছে। সব পরীক্ষার্থীকে মাস্ক পরে কেন্দ্রে ঢুকতে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত আসনে বসানো হয়েছে। তাই কোনো জটিলতা তৈরি হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এসএম মহিবুল্লাহ বলেন, প্রশ্ন ভালো হয় পরীক্ষা ভালো হয়েছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে যে ঘড়ি ঝুলানো ছিল তাতে টাইম ঠিক ছিল না বলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। চাইলে কর্তৃপক্ষ সেটা ঠিক করতে পারতেন। কিন্তু সেটি ঠিক না থাকায় উত্তর লিখতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে।

ঢাকা কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করা রবিন আহমেদ বলেন, বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন যেমন হওয়া উচিৎ এমনটাই হয়েছে। তবে, তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বছরের চেয়ে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন কিছুটা সহজ মনে হয়েছে। এ কারণে সব ঠিকঠাক মতো উত্তর দিতে পেরেছি।

ইডেন কলেজের মাস্টার্সের ছাত্রী আফরোজা খাতুন বলেন, প্রশ্ন ভালো হলেও ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে কিছুটা কঠিন মনে হয়েছে। এ কারণে এই দুই বিষয়ে কিছুটা খারাপ হয়েছে। তবে আরও ভালো প্রস্তুতি থাকলে এ বিষয়েও ভালো পরীক্ষা দিতে পারতাম। এ কেন্দ্রের আরও একাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শেষে ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের প্রশ্ন কঠিন হয়েছে বলেও জানান।

তবে পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হলোও কেন্দ্রের বাইরে ছিল অভিভাবক ও উৎসুক মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এছাড়া পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বের হতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে শারীরিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিল না।

শুক্রবার সকাল ১০টায় দেশের আট বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রগুলোতে ৪৩তম বিসিএসের পিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয়ে বেলা ১২টা শেষ হয়। এবারের পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্যাডারের ১ হাজার ৮১৪টি পদের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০টি। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশে ১০০ জন, পররাষ্ট্রে ২৫ জন, শিক্ষায় ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।

এমএইচএম/এমএএইচ/এমএস