পিইসি পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাবে যা আছে
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি-ইবতেদায়ি) বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। স্বল্প সময়ে পরীক্ষা আয়োজন ও তার ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ প্রচলন করা হয়। শিক্ষাবর্ষের শেষে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত কারণে ২০২০ সলের ১৮ মার্চ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে সীমিত আকারে পাঠদান কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়েছে।
সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে পাঠদান কার্যক্রম সম্প্রচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমেও পাঠদান সম্প্রচার করা হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়ার্কশিট প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের কাছে বিতরণ করা হয়। শিক্ষকরা গুগল-মিট অ্যাপের মাধ্যমে পাঠদান করেন। হোম ভিজিটের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সহায়তা করেন এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে পাঠদান বিষয়ে যোগাযোগ করেন। শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য প্রণীত এক্সিলেন্ট রিমিডিয়াল লার্নিং পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান করছেন। সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে কোভিডকালে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য প্রণীত পরিকল্পনা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মাত্র ২/৩ মাস অবশিষ্ট আছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও মুদ্রণ, দেশব্যাপী একযোগে এই পরীক্ষা পরিচালনা করা এবং নির্ধারিত সময়ে ফল প্রকাশ করা কষ্টসাধ্য হবে। ভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতির কারণে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সম্পন্ন করা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। উল্লেখ্য, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অনুরোধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বারা শুধুমাত্র ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম বিবেচনাক্রমে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণের পরিবর্তে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে তাদেরকে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।
এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনা ও সানুগ্রহ অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলো বলেও তাতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমএইচএম/এমআআর
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক
- ২ উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে প্রকল্পে ধীরগতি, ত্রিপক্ষীয় সভা করবে ইউজিসি
- ৩ চাকরির বয়স দুই বছর না হলে মাদরাসা শিক্ষকের বদলির সুযোগ নেই
- ৪ পাঠ্যবই ছাপাতে পাল্টা পদক্ষেপ এনসিটিবির, বেঁধে দিলো সময়সীমা
- ৫ ২৫ মার্চের আগে বই ছাপা সম্ভব নয় জানিয়ে চিঠি, পরক্ষণে চাইলেন ক্ষমা