প্রতিশ্রুতি পূরণসহ বেতন কাঠামোর অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবি
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণসহ অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সকল অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের মধ্যে এর সমাধান চান শিক্ষকরা। অন্যথায় এই কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য শিক্ষক সমাজ দায়ী থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকরা এসব দাবি জানান। এর আগে রোববার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদের এক জরুরি সভায় এসব বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমান অবস্থায় অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো বাস্তবায়িত হলে সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোর তুলনায় গ্রেড-১ প্রাপ্ত শিক্ষকদের সংখ্যা অর্ধেক কিংবা তারও নিচে নেমে আসবে। উপরন্তু, গ্রেড-১ প্রাপ্ত শিক্ষকদের থেকে সুপারগ্রেডের ২য় ধাপে যাওয়ার কোনো সুযোগ ও নির্দেশনা এই গেজেটে কিংবা অন্য কোনো পরিপত্রে এ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি।’
শিক্ষকরা বলেন, ‘গত ৬ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে শিক্ষক প্রতিনিধিদের এক সাক্ষাতের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তিনটি বিষয়ে শিক্ষকদের সুষ্পষ্ট আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করেছি উক্ত আশ্বাসের প্রথম দু’টি প্রতিশ্রæতির সম্পূর্ণ বরখেলাপ এই বেতন কাঠামোতে করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পরিতাপের বিষয় যে, জাতীয় অধ্যাপকদের সিনিয়র সচিবদের পর্যায় এনে এই বরেণ্য ব্যক্তিদের যেমন অপমান করা হয়েছে, অন্যদিকে তাঁদের পে-রুলে আনার এই প্রচেষ্টার মধ্যদিয়ে জাতীয় বেতন কাঠামোকে করা হয়েছে বিতর্কিত।
জাতীয় অধ্যাপকদের বিশ্ববিদ্যালয় মনোনয়ন দেয় না বা তাঁরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের সাথেও যুক্ত নয়। দেশে ৫ জন জাতীয় অধ্যাপক আছেন, তাঁরা সকলের উপরে দেশ-বরেণ্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। এমতাবস্থায় তাঁদের এই বেতন কাঠামোতে অর্ন্তভুক্তি অনাকাঙ্খিত ও জাতির জন্য লজ্জাজনক।’
এমএইচ/এসকেডি/আরআইপি