চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ না হলে আন্দোলনের হুমকি
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রায় দুই বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর সঙ্গে সব ধরনের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাও স্থগিত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে স্থায়ীভাবে চাকরিতে যোগদানের বয়স ৩২ করার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। দাবি বাস্তবায়ন না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন তারা।
রোববার (২২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তানভির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আজ অদৃশ্য এক ভাইরাসের বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধের মধ্যে। তাই আর্থ-সামাজিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। করোনার মধ্যে চাকরিতে যোগদানের জন্য অস্থায়ীভাবে ২১ মাস সময় বাড়ানো হলেও নির্ধারিত কিছু ব্যক্তি এ সুবিধা পাবেন। অন্যরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বৈষম্যমূলক সরকারের ঘোষিত এ পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করে চাকরিতে যোগদানের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছরে উন্নীত করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দেশে বেকারত্ব দূর করতে স্থায়ীভাবে চাকরিতে যোগদানের বয়সসীমা ৩২ বছর করতে হবে। না হলে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ঘরে ঘরে চাকরির বদলে ঘরে ঘরে বেকারত্ব বেড়ে যাবে।’
আবদুল্লাহ আল মামুন নামে আরেক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষকে সুবিধা দিলে হবে না, ক্ষতিগ্রস্ত সকল চাকরিপ্রত্যাশীর জন্য চাকরির বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছর করতে হবে। করোনায় সকলের জীবন থেকে ২ বছর নষ্ট হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে রাজধানীর শাহবাগে লাগাতার আন্দোলন শুরু করা হবে। এছাড়া দেশের সকল জেলায় চাকরিপ্রত্যাশীরা আন্দোলন শুরু করবেন।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সাজিদ রহমান, আনোয়ার সাকিন, অক্ষয় রায়, সাদেকুল ইসলাম, সুমনা রহমান প্রমুখ।
এমএইচএম/এমএইচআর/এমএস
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব
- ২ সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
- ৩ সাত কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- ৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মরণসভা করার নির্দেশ
- ৫ পিএইচডি-এমফিলধারী ২০৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন