‘১৫ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেড়েছে কিশোর অপরাধ’
টানা ১৫ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বেড়েছে বাল্যবিয়ে, মাদকাসক্ত ও কিশোর অপরাধ।
মঙ্গলবার (১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন অভিভাবক-ছাত্র-শিক্ষক জাতীয় মঞ্চের বক্তারা।
এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলা হয়, কিন্ডারগার্টেন এবং সমমনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বোর্ড গঠন ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক প্রণোদনা প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ধরে পানি ও বিদ্যুৎ বিল আবাসিক হারে নির্ধারণ করা এবং কিন্ডারগার্টেনগুলোর নিবন্ধন গতিশীল করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষক-অভিভাবকরা বলেন, একটানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বন্দি জীবন-যাপন করছে। অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তারা শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ছে। বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অনেকে মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে, মাদকাসক্ত ও কিশোর গ্যাংয়ের মত অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া অনেক কিশোরী টিকটকের মত অশ্লীলতায় জড়িয়ে, নারী ও শিশু পাচারকারীদের বিভিন্ন প্রলোভনে বিদেশে পাচারের শিকার হচ্ছে।
তারা বলেন, বহু শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন এই সময়ের মধ্যে ঝরে পড়ছে। শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের পূর্বেই পুনরায় ছুটি বর্ধিত না করে সরকার ঘোষিত ১৩ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু চলতে পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চলতে পারবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও বেশিদিন বন্ধ থাকলে কিশোর অপরাধ বাড়বে। এ সময় অভিভাবকরা পাবজি, ফ্রি ফায়ার, টিকটিকসহ অশ্লীল সাইট বন্ধের দাবি জানান।
এসএম/জেডএইচ/এমকেএইচ