ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

লকডাউনে গ্রামের বাড়ি যাওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১০ কর্মচারীকে শোকজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে কঠোর ‘বিধিনিষেধ’। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, এ সময়ে সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করায় সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারি কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।

সরকারের এ নির্দেশ অমান্য করে গ্রামের বাড়িতে যান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ১০ জন কর্মচারি। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন) রোকসানা রহমান তাদের শোকজ দিয়ে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন।

শোকজের চিঠিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রােধে সরকার গত ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ধাপে লকডাউন ঘোষণ করে এবং পরবর্তীতে তা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে মর্মে ঘােষণা করা হয়। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন বলে আদেশ দেয়া হয়।

‘সরকারের এ আইনসঙ্গত আদেশ অমান্য করে আপনি কর্মস্থল ত্যাগ করে নিজ গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন, যা সরকারি কর্মচারি ( শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অসদাচরণের অপরাধে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে হবে।’

নোটিশপ্রাপ্ত কর্মচারিরা হলেন— উচ্চমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আকরাম হোসেন, ক্যাটালগার মো. এহসানুল, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মুন্নি আফরোজ, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক তাসলিমা আক্তার, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মোস্তফা কামাল, অফিস সহায়ক রুমা আক্তার, জুয়েল, সোবাহান আলী ও দেলওয়ার হোসেন।

জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তারা সরকারি আদেশ অমান্য করে করোনার মধ্যে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি আমরা জানতে পেরে তাদেরকে ফোন দেয়া হয় এবং তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে বাড়ির যাওয়ার বিষয়টি। এজন্য তাদের শোকজ করা হয়েছে।

এমএইচএম/এএএইচ/এমএস