খবরের লিঙ্ক ফেসবুকে শেয়ার করায় ১০ শিক্ষককে শোকজ
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পদোন্নতি সংক্রান্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করায় ১০ শিক্ষককে শোকজ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। কারণ দর্শানোর জন্য তাদের সশরীরে অধিদফতরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এর প্রেক্ষিতে ৪ মার্চ ও ৮ মার্চ এই ১০ শিক্ষক কারণ দর্শাতে শিক্ষা ভবনে এসে তাদের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন।
এ বিষয়ে ১০ শিক্ষকের মধ্যে একজন মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি কর্তৃপক্ষকে লিখিত জবাব দিয়েছি। এ বিষয়ে তারা আমাকে কিছুৃ প্রশ্ন করেছে তার উত্তরও দিয়েছি। আমিও জানতে চেয়েছিলাম আমাকে কেন শোকজ করা হলো? এর উত্তরে কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন, আপনি অনলাইন পত্রিকার দুটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। এটাই শোকজ করার কারণ।’
আমি আমার ব্যাখ্যায় বলেছি, ‘এ বিষয়ে সরকারি কোনো নীতিমালা অথবা বিধিমালা নেই। আমি তাদের এটাও বলেছি, যদি আমার কোনো সিনিয়র সহকর্মীও বলতেন যে এটা করা যাবে না, তাহলে আমি ফেসবুকে লিঙ্ক শেয়ার করতাম না।’
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক পদে ৭ হাজার ২৭৮ জনের খসড়া তালিকা শিক্ষা মন্ত্রলালয়ে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। শিক্ষকদের অভিযোগ, এর মধ্যে নিয়োগ বিধিমালা ও আইন অনুযায়ী সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক রয়েছেন। আর প্রায় ১৫০০ শিক্ষক আছেন যাদের বিএড জটিলতা আছে। অথচ যাদের পদোন্নতির জন্য যোগ্যতা রয়েছে তাদের ১০ জনকেই শোকজ করা হয়েছে।
এই ১০ শিক্ষকের কোনো শাস্তি হবে কি না জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মো. বেলাল হোসেন বলেন, এই ১০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি। যদি কোনো শাস্তি দেয়া হয়, তবে তা জানিয়ে দেয়া হবে।
এমএইচএম/এমএইচআর/এমকেএইচ
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুনে, বার্ষিক নভেম্বরে
- ২ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক
- ৩ উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে প্রকল্পে ধীরগতি, ত্রিপক্ষীয় সভা করবে ইউজিসি
- ৪ চাকরির বয়স দুই বছর না হলে মাদরাসা শিক্ষকের বদলির সুযোগ নেই
- ৫ পাঠ্যবই ছাপাতে পাল্টা পদক্ষেপ এনসিটিবির, বেঁধে দিলো সময়সীমা